আগে রাজ্যে শিল্পের জন্য জমি পেতে অন্তত দু ধাপে আবেদন করার পর অনুমোদন পেতে বেশ খানিকটা সময় চলে যেত। ছোট ও মাঝারি শিল্প, বড় শিল্পের জন্য পৃথক জায়গায় দরখাস্ত করতে হতো। এমনকী শিল্পের কোনও পরিকাঠামো সংক্রান্ত আবেদনও করতে হত অন্যত্র। তা ধাপে ধাপে অনুমোদনের পর কাজের স্তরে পৌঁছতে অনেকটাই সময় লেগে যেত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকবারই বলেছেন যে শিল্পের জন্য আগ্রহীদের জমি দান এবং অন্যান্য বিষয়ে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করতে হবে। সহজে, দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের চাহিদা পূরণ করে দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে আগেই খানিকটা গতি এসেছিল এই পদ্ধতিতে। তবে এখন সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম চালু হওয়ায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গোটা পদ্ধতি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন- উল্টোদিকে দৌড়ে ক্যাচ, এটাই বিশ্বকাপের সেরা! গোটা স্টেডিয়াম চুপ করে গেল
রাজ্য সরকার একই জায়গা থেকে শিল্প সংস্থাগুলির বিভিন্ন রকমের ছাড়পত্র দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা শিল্পসাথী পোর্টালটি ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। উন্নত সুযোগ-সুবিধা যুক্ত এই পোর্টালটি কাজ করছে বলে রাজ্যের শিল্প দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। নতুন পোর্টালটি সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। রাজ্যে শিল্প পরিকাঠামো মানোন্নয়নে রাজ্য সরকার একটি পৃথক নীতির পরিকল্পনা করছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই খরচ কমাতে বহুমুখী পরিবহণ পরিকাঠামো নীতি চালু করেছে। একই ভাবে রাজ্য একটি নিজস্ব নীতি তৈরির কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। রাজ্যের বক্তব্য, সরকারের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বা ছোট শিল্পের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। দু’ধরনের শিল্পের বিনিয়োগকারীকে একই রকম ভাবে সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত রাজ্য। তাঁদের সমস্যা মেটাতেও শিল্প দফতর একই ধরনের তৎপরতা দেখাবে বলে তাঁর আশ্বাস।