সিগন্যাল দৃশ্যমানতা: ঘন কুয়াশাতেও ট্রেন চলাচল নিরাপদ রাখতে আধুনিক LED সিগন্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে সিগন্যালের উজ্জ্বলতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সিগন্যাল সাইটিং বোর্ড এবং W/L বোর্ডে প্রতিফলক রঙ ও স্ট্রিপ পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে যাতে চালকরা সময়মতো সঙ্কেত পেতে পারেন।
advertisement
লেভেল ক্রসিং নিরাপত্তা : সমস্ত লেভেল ক্রসিং গেটে রেট্রো-রিফ্লেকটিভ টেপ ও স্পষ্ট চিহ্ন লাগানো হচ্ছে। গেটগুলো হলুদ/কালো আলোকিত স্ট্রিপে রাঙানো হচ্ছে এবং হুটারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হচ্ছে যাতে গাড়িচালক ও পথচারীরা সময়মতো সতর্ক হতে পারেন।
রেলপথ রক্ষা: শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ায় রেললাইনে ফাটল বা ক্র্যাক এড়াতে প্রতি রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বিশেষ পেট্রোলম্যান মোতায়েন করা হয়েছে। তারা GPS ট্র্যাকার, প্রতিফলক জ্যাকেট এবং তিনটি টর্চ-সহ সজ্জিত। সিঙ্গল লাইনে ৪ কিমি ও ডাবল লাইনে ২ কিমি এলাকায় তারা টহল দেন। তাদের গতিবিধি GPS ট্র্যাকিং এবং অফিসারদের আকস্মিক তদারকির মাধ্যমে নজরদারি করা হয়।
• লোকো পাইলটদের সতর্ক করার জন্য ফগ সিগন্যাল পোস্ট ও ডিটোনেটর স্থাপন করা হয়েছে।
• কুয়াশার সময় নির্ধারিত গতিসীমা মেনে চলা হবে।
এই প্রসঙ্গে শিয়ালদহের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক রাজীব সাক্সেনা বলেন— নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, বিশেষ করে আমরা যখন ঘন কুয়াশা ও শীতের সময়ে প্রবেশ করছি। এই সেমিনারটি ছিল আমাদের অপারেশনাল প্রক্রিয়াগুলির সক্রিয় পর্যালোচনা ও সেগুলিকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। আমি উপস্থিত সকল কর্মীদের নিষ্ঠা ও সতর্কতার প্রশংসা করি—তাদের সচেতনতা ও নিয়ম মেনে চলাই যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করবে।
