এই বৈঠক ঠিকাদারদের জন্য একটি উন্মুক্ত ফোরাম হিসাবেও কাজ করেছে যেখানে তাঁরা এই দ্রুত বাস্তবায়নের সময় চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সমাধান করতে পেরেছেন। এই পদক্ষেপে ভ্রমণ অনেক সহজ হবে। m-UTS যাত্রীদের অসুবিধা দূর করতে এবং হল্ট স্টেশনগুলিকে আধুনিক পরিষেবা দিতে চায়। পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনায় এই উদ্যোগটি বিভাগের মধ্যে বৃহত্তর ডিজিটাইজেশনের দিকে একটি অভূতপূর্ব এবং প্রগতিশীল পদক্ষেপ।
advertisement
আরও পড়ুন– সাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় দুর্যোগের পূর্বাভাস !
শিয়ালদহ-এর ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার, রাজীব সাক্সেনা জানান, m-UTS-এর দ্রুত বাস্তবায়ন যাত্রীদের জন্য অপরিকল্পিত টিকিট প্রাপ্তিতে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য এবং সহজলভ্যতা প্রদান করবে। তবে রেল ইউনিয়নের বক্তব্য, ক্রমাগত কমার্শিয়াল বিভাগের কর্মীদের অন্যত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এমনিতেই এই বিভাগের লোকের যে কাজ করা উচিত তার বদলে অন্য কাজ তাঁরা করছেন। তাই হল্ট স্টেশন ডিজিটাল ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হচ্ছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে অনেকগুলি হল্ট স্টেশন রয়েছে। সেই সব স্টেশনে সব ট্রেন না দাঁড়ালে কয়েকটি নির্দিষ্ট ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হয়।
তাই প্রতি দিনই এই সব হল্ট স্টেশনে যাত্রীদের আনাগোনা রয়েইছে। কিন্তু এত দিন হল্ট স্টেশনগুলিতে কোনও টিকিট কাউন্টার ছিল না। তাতে সমস্যায় পড়তেন যাত্রীরা। সেই সমস্যা সমাধানেই পূর্ব রেল নয়া পদক্ষেপ করল। হল্ট স্টেশনগুলিতে স্থায়ী টিকিট কাউন্টার না থাকায় যাত্রীদের সুবিধার্থে অতীতে রেল একাধিক পদক্ষেপ করেছিল। টেন্ডার দেখে এই সব হল্ট স্টেশনের টিকিট কাটার দায়িত্ব দেওয়া হত বেসরকারি সংস্থাকে। তারাই এই সব স্টেশনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা করত। টিকিট কেটে পাওয়া লাভের অংশ ভাগাভাগি হত রেল এবং সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার মধ্যে। তবে তাতেও সমস্যা মেটেনি।