এই অভিযান পরিচালনা করেন পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ড. উদয় শঙ্কর ঝা ও সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার জসরাম মীনা। উদ্যোগটির মূল উদ্দেশ্য ছিল যাত্রীদের দায়িত্বশীল ভ্রমণ অভ্যাস গড়ে তোলা, টিকিট কেটেই রেলে উঠছেন তা নিশ্চিত করা এবং রেল পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা। এই অভিযানের মাধ্যমে মোট ২,২৫,০০০ টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হয় এবং ৩০৬টি মামলা রুজু করা হয়। মামলা গুলির মধ্যে ছিল টিকিটবিহীন ভ্রমণ, অবৈধভাবে লাগেজ বহন এবং রেল চত্বরে থুথু ফেলার ঘটনা।
advertisement
আরও পড়ুন– হাওড়া ও ঝাড়গ্রামের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক অভিষেকের, নিবিড় জনসংযোগে জোর দেওয়ার নির্দেশ
আয় বৃদ্ধির বাইরে, ড. ঝা যাত্রীদের সার্বিক অভিজ্ঞতা উন্নত করার দিকেও জোর দেন। তিনি যাত্রী সুবিধাগুলি আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শন করেন, যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন এবং নৈহাটি স্টেশনে বিক্রেতাদের সঙ্গে সৌন্দর্যায়ন সংক্রান্ত আলোচনাও করেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন গুডস শেডের অবস্থা পরিদর্শন করে সম্ভাব্য আয়ের পথ খুঁজে বের করেন, যা শিয়ালদহ বিভাগ ও পূর্ব রেলের জন্য উপকারী হবে।
আরও পড়ুন– পুজোর মুখেও আবহাওয়া নিয়ে স্বস্তি নেই, বৃষ্টি চলবে, উইকেন্ডে কী পূর্বাভাস? জেনে নিন
এই প্রসঙ্গে শিয়ালদহের ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা জানান, “এই বিশেষ অভিযান শুধুমাত্র দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। বৈধ টিকিট বহন, লাগেজ নিয়ম মেনে চলা এবং গণপরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা – এই বিষয়গুলির গুরুত্ব সম্পর্কে যাত্রীদের সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ সুনিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।” রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন এখন থেকে নিয়মিত এই অভিযান চালানো হবে।