এই অভিযানের লক্ষ্য হল টিকিট কালোবাজারি দমন করা এবং প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম (পিআরএস)-এর অপব্যবহার রোধ করা। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF)-এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ‘অপারেশন’ বা অভিযান চালু আছে, যেমন– ‘অপারেশন উপলব্ধ’ (Operation Uplabdh) যা টিকিট দালালদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়, টিকিট কালোবাজারি ও দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান, যেখানে অবৈধ টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের ভোরে হেস্টিংসয়ে মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনা, গুরুতর জখম যুবক! সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ পুলিশের
এই অভিযানের অংশ হিসেবে, শিয়ালদহ এবং মালদহ ডিভিশনের আরপিএফ কর্মীরা পিআরএস/পলাশী রেলওয়ে স্টেশন এবং নিউ ফারাক্কা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুই দালালকে গ্রেফতার করে। এই অভিযানে তাদের কাছ থেকে ২৬,১৭২/- টাকা মূল্যের ৮টি সক্রিয় রেলওয়ে/ই-টিকিট উদ্ধার করা হয়।
ধৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আরপিএফ পোস্ট দ্বারা রেলওয়ে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবৈধ টিকিট কার্যকলাপে তাদের জড়িত থাকার মাত্রা নির্ধারণের জন্য আরও তদন্ত চলছে। পূর্ব রেল যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যাত্রীদের শুধুমাত্র অনুমোদিত মাধ্যম থেকে টিকিট কেনার পরামর্শ দিচ্ছে। দালালদের বিরুদ্ধে এই ধরনের বিশেষ অভিযান সমস্ত ডিভিশনে নতুন উদ্যমে অব্যাহত থাকবে।
টিকিটের কালোবাজারি রুখতে ভারতীয় রেল একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা তৈরি জাল টিকিট শনাক্ত করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার, বিশেষ করে UTS অ্যাপে QR কোড ও ইউনিক আইডি যাচাইকরণ, তৎকাল টিকিটে OTP এবং আধার ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা, টিকিট বুকিংয়ে দালালদের (এজেন্টদের) প্রথম ৩০ মিনিট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং “টিকিট যার ভ্রমণ তার” নীতি কার্যকর করতে জাতীয় পরিচয়পত্র (ID) যাচাই বাধ্যতামূলক করা, পাশাপাশি Railway Protection Force (RPF)-এর সাইবার সেল দ্বারা নজরদারি ও অভিযান জোরদার করা, যার ফলে প্রচুর অবৈধ টিকিট বাজেয়াপ্ত হয়েছে ও অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
