পাশাপাশি, সড়কে যানজট ও অপেক্ষার সময় কমেছে এবং রেল-সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকিও হ্রাস পেয়েছে। এই কাজগুলিকে যানবাহনের পরিমাণ, সুরক্ষার ওপর প্রভাব, জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা এবং প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতার উপর ভিত্তি করে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, যার ফলে সমগ্র অঞ্চলে যাত্রী ও মালবাহী যানের চলাচল সুগম হয়ে যায়।
২০২৫ সালে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আওতাধীন রাজ্যগুলিতে ১৬টি রোড ওভার ব্রিজ (আরওবি) এবং ২২টি রোড আন্ডার ব্রিজ (আরইউবি) নির্মাণ সম্পন্ন করার মাধ্যমে পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই সাফল্যগুলির পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি আরইউবি প্রকল্প বর্তমানে চলমান অবস্থায় রয়েছে এবং ক্রমবর্ধমান যানজট ও সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য প্রয়োজন অনুসারে নতুন কাজ শুরু করা হচ্ছে। এই আরইউবিগুলি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পাঁচটি ডিভিশনের কৌশলগত স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে, যার মধ্যে পানবাজার, চাপরমুখ, কামপুর, কাটিহার এবং মানকোট্টার মতোগুরুত্বপূর্ণ স্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
advertisement
এই আরওবি এবং আরইউবিগুলির নির্মাণসম্পন্ন হওয়ার ফলে রেল-সড়ক সংযোগের উন্নতি হয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থামজবুত হয়েছে এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নেটওয়ার্কে ট্রেন ও সড়ক ব্যবহারকারী উভয়ের জন্যই সুরক্ষা ও সুগম চলাচল নিশ্চিত হয়েছে।
এই বছরের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল গুয়াহাটির পানবাজারে আরওবির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়া। ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে নির্মিত ২৯০মিটার দৈর্ঘ্যের এই আরওবিটিতে উভয় পাশে ১.৫ মিটার চওড়া ফুটপাথ-সহ একটি প্রশস্ত ক্যারেজওয়ে এবং আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং উপাদান রয়েছে, যেমন কি কম্পোজিট গার্ডার-সহ ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের বো স্ট্রিং গার্ডার। এই কাঠামোটি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভার্টিকাল এন্ড হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স প্রদান করে, যার ফলে আরও মসৃণ হয় ট্রেনের চলাচল। ব্যস্ত পানবাজার-পল্টনবাজার করিডোরে যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।
আরও পড়ুন : বর্ষবরণের রাতে বাড়তি মেট্রো! যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে বিশেষ বন্দোবস্ত মেট্রো রেলের
একইভাবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত মাইলফলক হল আরইউবি যা রহা (এনএইচ-২৭)-কে চাপরমুখ রেলওয়ে জংশন-এর সঙ্গে এবং সেখান থেকে ওয়েস্ট কার্বি আংলং-কে সংযুক্ত করে। ৮৪.৬ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে নির্মিত এবং ১,১৭৯ মিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল আরওবিটি একটিগুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সংযোগকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যার ফলে ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। জনসাধারণ ও পণ্য পরিবহণ সহজ হয়েছে এবং লেভেল ক্রসিংয়ের জন্য তৈরি হওয়া বিলম্বের সমস্যা দূর হয়েছে।
এছাড়াও, ২০২৫ সালে ২২টি রোড আন্ডার ব্রিজ (আরইউবি) সফলভাবে নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এই আরইউবিগুলি রেলসড়কের সুরক্ষা বৃদ্ধি করেছে,ট্রেন চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রেখেছে, যানজট কমিয়েছে এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ-উভয়ের জন্যই দ্রুত ও সুগম ভ্রমণ সম্ভবপর করে তুলেছে।
