রেলের সিগন্যাল কেবল ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ অবশ্য ওড়াল ডব্লিউবিএসইডিসিএল। সংস্থার স্পষ্ট বক্তব্য, ওভারহেড তারের বদলে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল সিস্টেম করা হয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে। যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেদিকে জোর দেওয়া হয়েছে। বারুইপুর শহরে এই কাজ করা হয়েছে বারুইপুর পুরসভার অনুমতি নিয়েই। তার জন্য যথাযথ রোড রেস্টোরেশন চার্জও দেওয়া হয়েছে। যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটি বারুইপুর পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডে।
advertisement
ডব্লিউবিএসইডিসিএল পুরোদস্তুর পাওয়ার কেবলের কাজ করার আগে সবদিক পরীক্ষা করেই এগিয়েছিল। সেইসময় অন্য কোনও কেবল চোখে পড়েনি সেখানে। এটা দুর্ভাগ্যজনক এবং আশাতীত যে রেলের সিগন্যাল কেবল রাস্তার উপর রয়েছে এবং বারুইপুর পুরসভাকে তা দেখভাল করতে হচ্ছে। ডব্লিউবিএসইডিসিএল-এর বক্তব্য, পাওয়ার কেবল বসানোর কাজ করা হয়েছে সমস্ত স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল মেনেই। গোটা বিষয়টি যৌথ পরিদর্শনের মাধ্যমে। তবে ডব্লিউবিএসইডিসিএল রেলের এই অভিযোগ ঠিক নয় বলেই মনে করে। বারুইপুরে ছিঁড়ে যায় ট্রেনের সিগন্যালিং তার, বিদ্যুৎ দফতরের কাজে ৬২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে রেল।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর গুরুত্বপূর্ণ জংশন। ফলে আচমকা এ ঘটনায় প্রচুর ট্রেন মাঝরাস্তাতেই থমকে যায়। প্রভাব পড়ে ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, সোনারপুর শাখাতেও। এই ঘটনার জেরে প্রায় ৩৭টি ট্রেন যাতায়াতের সমস্যার মধ্যে পড়ে। রেলের অভিযোগ বুধবার রাত থেকে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন আধুনিক ইন্টারলকিং সিগন্যালিং রুমের সামনে কাজে নামেন। আর সেই কাজ করতে গিয়েই গোলযোগ। ১৬টি সিগন্যালিং তারে সেই মাইক্রো টানেলিং মেশিনের কোপ পড়ে। ছিঁড়ে যায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তার। যে কারণে গোটা সিগন্যালিং ব্যবস্থার উপরে পড়ে বড়সড় প্রভাব।