OTT Movie: কোনও অ্যাকশন দৃশ্য তো নেই-ই, কিংবা নেই কোনও থ্রিলারের দৃশ্যও; তবে আজও ওটিটি-তে এই কালজয়ী ছবি দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন দর্শকরা
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
যদিও এই ছবির রান টাইম প্রায় ৩ ঘণ্টার। তবে এই ছবি প্রচুর ভালবাসা অর্জন করেছে। বক্স অফিসে দুর্ধর্ষ কালেকশন এই ছবিটির।
ওটিটি-তে কেবল নতুন ছবিই দেখা যাচ্ছে না। কখনও কখনও পুরনো ছবিও রিপিট করা হয়। আসলে পুরনো ছবিও দেখতে পছন্দ করেন দর্শকরা। এখন আমরা এমন একটি ছবির কথা বলতে চলেছি, যেখানে নেই কোনও মারকাটারি অ্যাকশনের দৃশ্য কিংবা নেই কোনও থ্রিলারের দৃশ্যও। তা সত্ত্বেও বহু দর্শক এই ছবিটি পছন্দ করেন। যদিও এই ছবির রান টাইম প্রায় ৩ ঘণ্টার। তবে এই ছবি প্রচুর ভালবাসা অর্জন করেছে। বক্স অফিসে দুর্ধর্ষ কালেকশন এই ছবিটির। এখানে কথা হচ্ছে, ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির। শুধুমাত্র বলিউডেই নয়, গোটা ভারতে প্রজন্মের সেরা ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে রয়েছে এই ছবিটি।
advertisement
মারপিট, অ্যাকশন কিংবা থ্রিলারের দৃশ্য এই ছবিতে নেই। তবে তাতে কী! ঘণ্টা তিনেক ধরে কাউকে ঘুমোতে দেবে না এই ছবিটি। ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘থ্রি ইডিয়টস’। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আমির খান, শরমন জোশি, আর. মাধবনের মতো তারকা। আর করিনা কাপুর খানকে এই ছবির নায়িকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। এমনিতে আমির খানের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক অ্যাকশন-থ্রিলারধর্মী ছবি। এর মধ্যে অন্যতম হল - ‘সরফরোশ’, ‘ওয়াজি’, ‘তালাশ’ এবং ‘ঠগস অফ হিন্দোস্তান’। কিন্তু ‘থ্রি ইডিয়টস’ আমিরের কেরিয়ারের বিশেষ ছবি হয়ে থেকে যাবে।
advertisement
বক্স অফিসে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল এই ‘থ্রি ইডিয়টস’। হিন্দিতে ৪৬০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে রীতিমতো সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল ছবিটি। এর পাশাপাশি হিন্দিতে ইন্ডাস্ট্রি হিট হয়েছে ছবিটি। অল-টাইম ব্লকবাস্টার ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর আইএমডিবি রেটিং ৮.৪। চার বছর পর তামিল ভাষায় এই ছবির রিমেক হয়েছিল। অন্যতম সেরা পরিচালক শঙ্কর এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন। তারপর থেকে আর কোনও রিমেক করেননি এই পরিচালক।
advertisement
শঙ্কর জানান যে, একদিন একঘেয়েমি কাটাতে এই ছবিটি দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ‘থ্রি ইডিয়টস’ দেখে সকলকে মজা পেতে দেখেছিলেন তিনি। তারপরেই ছবির প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়ার কাছে গিয়ে রিমেকের স্বত্ত্ব কিনে নেন। ‘নামবান’ নামে তামিল ভাষায় মুক্তি পায় এই ছবিটি। বাজেট ছিল প্রচুর। প্রায় ৫০ কোটি টাকার। অভিনেতা বিজয়ের সঙ্গে এই ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ইলিয়ানাকে। এর পাশাপাশি অভিনয় করেছিলেন জিভা এবং শ্রীরামও। তামিল ছবির দুনিয়ার তারকা অভিনেতা ছিলেন বিজয়।
advertisement
অন্যদিকে অন্যতম সেরা পরিচালক শঙ্কর। ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন যে, এই ছবিটি রেকর্ড ভেঙে দেবে। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে ছবিটি ফ্লপ করে। ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি বক্স অফিস থেকে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। আবার ‘দস্তম’ নামে তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে মুক্তি পেয়েছিল এটি। তবে তেলুগুতেও সেভাবে ভাল ফল করতে পারেনি।
advertisement
যদিও ধীরে ধীরে কালজয়ীর তকমা লাভ করেছে এই তেলুগু ছবিটি। এমনকী আজও টিভিতে এই ছবিটি এলে দর্শকরা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন। এই ছবিতে কাট্টাপ্পা ওরফে সত্যারাজ অভিনয় করেছিলেন অধ্যক্ষের ভূমিকায়। হিন্দিতে যে ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল বোমান ইরানিকে। তেলুগু ছবিটির জন্য সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন হরিশ জয়রাজ। ছবির গানও দারুণ হিট হয়েছিল।