বিভূতিভূষণ এবং সত্যজিৎ রায়ের মত দুই দিকপালের সৃষ্টি এবং মাঝে পড়ে থাকা পালসিট স্টেশনকে আজও স্মরণ করেন সেখানকার মানুষ। প্রত্যেক বছর এলাকায় মানুষরা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে স্টেশনের কাছে গিয়ে তাঁকে স্মরণ করেন। স্মরণ করেন সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনেও। ফিরে যেতে চান অবিস্মরণীয় সেই দৃশ্যটির কাছে।
আরও পড়ুন-স্কুল খুলছে, রোজ বাড়ছে যাত্রী, এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা মেট্রো
advertisement
হাওড়া থেকে ৯১.৭ কিলোমিটার দূরে, পূর্ব রেলের আওতাধীন এই পালসিট স্টেশন প্রথম থেকেই ছবির মত সুন্দর ছিল। ২০২০ সালের পরে স্টেশনের সংস্কার হয়। ধীরে ধীরে বসার জায়গা, প্ল্যাটফর্ম শেড, ওয়েটিং রুম, ফুট ওভারব্রিজ, পানীয় জল ও নতুন প্ল্যাটফর্মসহ নানা পরিষেবা যুক্ত হয়ে পালসিট এখন পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের রূপ পেতে চলেছে। পালসিটের সৌন্দর্য স্টেশনের মাধুর্যতায়। সারাদিনে এখন ট্রেনের সংখ্যাও অনেক।
আপ ও ডাউন ট্রেন মিলিয়ে মোট ৫০টি লোকাল ট্রেনে যাত্রী নামা ওঠা চলছেই। পড়ন্ত বিকেলে মনকে প্রফুল্ল করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন পালসিট স্টেশনের অদূরে এক নিষ্পাপ প্রকৃতির মাঝে। প্রকৃতি আপনাকে সব সময়ই দেবে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। এমন ভালোবাসায় কাটাতে পারেন একটি স্নিগ্ধ বিকেল। ক’দিন বাদেই বেজে উঠবে হেমন্তের বিদায়ের সুর। আশ্বিনের শেষেই বিলীন হয়ে যায় এই কাশবন।
শুরু হয় হেমন্তের নবান্ন উৎসব। প্রকৃতিতে মিশবে নতুন ফসলের ঘ্রাণ। শরতের এ কাশফুল শুধু প্রকৃতিপ্রেমীর সৌন্দর্যের ক্ষুধা মেটায় না। এ ফুলের শুকনো গাছ হয়ে ওঠে ঝাড়ু, জ্বালানি, ঘরের বেড়া বা কোথাও কুটিরের ছাদ তৈরির উপকরণ।পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে আসলে ভারতীয় রেলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই এমন প্রচার শুরু হচ্ছে।