তিনদিন আগে পিতৃবিয়োগ হয়৷ মন খারাপ ছিলই৷ তার উপর কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চেয়েও তা মঞ্জুর না হওয়ায় হতাশা বেড়ে যায়৷ রাগে, ক্ষোভে এবং হতাশা থেকে শনিবার গুলি চালান সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল জওয়ান এ কে মিশ্র৷ ভরসন্ধেয় পরপর সেই গুলির শব্দে হুলুস্থুল পড়ে যায় পার্ক স্ট্রিটের জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায়৷ জাদুঘরের পাশের কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের কাছেই সিআইএসএফের ব্যারাক৷ সেই ব্যারাকেই চলে গুলি। নিহত রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গি, আহত সুবীর ঘোষ৷
advertisement
সূত্রের খবর, ধৃত জওয়ান ওড়িশার বাসিন্দা। রবিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ িদয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ছুটি না পাওয়ায় শুক্রবার থেকেই ব্যারাকের মধ্যে মাথা গরম করে সহকর্মীদের গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে এ কে মিশ্রর বিরুদ্ধে। রাত পর্যন্ত ব্যারাকের মধ্যে ঝগড়াও চলে। রাতে তিনি কিছু খাননি বলেও খবর।
আরও পড়ুন: 'বন্দুকবাজ' জওয়ানের হয়ে সওয়াল করল না কেউ, জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে পুলিশ হেফাজত ধৃতের
সূত্রের খবর, শুধু ছুটি নয়। অভিযুক্তের সঙ্গে ব্যারাকের অনেকেই ঠাট্টা ইয়ার্কি করতেন। সেটা নিয়েও তাঁর মনে রাগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সব কিছু নিয়েই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শুক্র-রাতে ঝগড়ার পর শনিবার সকাল থেকে চুপচাপ ছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবল। কিন্তু সন্ধেয় মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় তিনি যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন তা কেউ আন্দাজই করতে পারেননি। গ্রেফতারির পরও তিনি কোনও অনুতাপ প্রকাশ করেননি বলেই খবর। তবে কি মানসিক অবসাদে ভুগছেন তিনি? এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ফের একবার নিরাপত্তাবাহিনীর মনের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।