সূত্রের খবর, সর্বাধিক ২ আসন ছাড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এর বেশি আসন চাইলে তৃণমূল কংগ্রেসও ভিন রাজ্যে আসন চাইবে। এর মধ্যে মেঘালয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি জানাবে। প্রসঙ্গত মেঘালয়ে তৃণমূলের বিধায়ক আছে। শতাংশের বিচারে ভাল ভোট পেয়েছিল তারা। কংগ্রেস বা তার সহযোগীদের সঙ্গে আসন সমঝোতা তাই এখানে সুবিধাজনক।
advertisement
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ৫ রাজ্যের ভোটের ফলের দিকে চেয়ে ধীরে চলো নীতি নিতে পারে কংগ্রেস। তবে যে যেখানে শক্তিশালী, সেটা মাথায় রেখেও, আসন সমঝোতায় গতি চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বাংলার আসন সমঝোতায় মেঘালয় জুড়তে পারে৷ আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে রাজ্যে তিনটি বিষয় উল্লেখিত হয়েছে- এক, গত বারের লোকসভা ভোটের ফল, দুই, গত বারের বিধানসভা ভোটের ফল, তিন, গত বারের লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের ফল সমন্বয় করে দেখা।
আরও পড়ুন: ‘মশাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ…খুব জটিল বিষয়’, ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কুণালের ‘বেফাঁস’ মন্তব্য! তুমুল হইচই
জম্মু কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড এবং বিহার, এই রাজ্যগুলিতে জোট হয়েই রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, হিমাচল প্রদেশ। এই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসেরই আধিপত্য, ফলে কংগ্রেসকে সামনে রেখেই বিরোধী জোট লড়বে। পঞ্জাব, দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া এবং পশ্চিমবঙ্গ। দিল্লি এবং পঞ্জাব মিলিয়ে কুড়িটা আসন, আর বাংলায় ৪২। এখানে কংগ্রেস আপ আর তৃণমূলের সঙ্গে কথা চালাবে। কেরলে বাম বনাম কংগ্রেস লড়াই আছে।
আরও পড়ুন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে ট্যুইট মমতার, বাংলা ভাষায় ট্যুইট শাহের
উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরায় কংগ্রেস সে ভাবে চাইছে না বামেদের। মেঘালয়ে কংগ্রেসের ভোট আছে। যদিও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব জানাচ্ছে, আসন সমঝোতা নিয়ে অসুবিধা হবে না। প্রয়োজনে সনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি উভয়েই কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে৷ তবে তা নিয়ে সময় বাড়াতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তারা জোটের কথা বলছেন। আর এই রাজ্যে এসে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী আক্রমণ করছেন এমন চললে এর একটা প্রভাব পড়বে আসন সমঝোতায়।।