এদিন মমতার কড়া প্রতিক্রিয়ার পরে জয়রাম রমেশ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আপনারা ওঁর পুরো কথাটা শোনেননি৷ উনি বলেছেন, উনি বিজেপি-কে হারাতে চান৷ কিন্তু, তাতে রেড লাইট এবং স্পিড ব্রেকার আছে৷ রাহুল গান্ধিও তা-ই বলেছেন৷ আমরা সেই কথা মাথায় রেখেই আগামিকাল বাংলায় প্রবেশ করব৷’’
advertisement
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অসমে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার শেষ করে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার কোচবিহার হয়ে বাংলায় প্রবেশ করার কথা রাহুল গান্ধির৷ অসমে যাত্রা শেষে একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাহুল গান্ধি জানিয়েছিলেন, তাঁর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক৷ তৃণমূলের সঙ্গেও তাঁর ভাল সম্পর্ক৷ ফলে জোট যেরকম আছে, তেমনই থাকবে৷ দ্রুত আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ যদিও সেই কথায় কার্যত জল ঢাললেন মমতা৷ বললেন, কোনও কথা হয়নি৷ ফলে এগুলি ঠিক বলা হচ্ছে না৷
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ন্যায় যাত্রার আমন্ত্রণ’ না পাওয়া সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয় জয়রাম রমেশকে৷ তিনি যদিও জানান, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের তরফে ইন্ডিয়া জোটের প্রত্যেক শরিক দলের কাছেই আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে৷ তার বলেই আগামিকাল কোচবিহার থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গে রাহুলের ন্যায় যাত্রা৷
এর আগে কংগ্রেসকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ৩০০ আসনে একা লড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা৷ সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়ে এদিনও মমতা বলেছেন, ‘৩০০ আসনে কংগ্রেস একা লড়াই করুক, সেখানে আঞ্চলিক দলগুলি হস্তক্ষেপ করবে না৷ ‘বাকি আসনে যদি হস্তক্ষেপ করে, তাহলে আমরা বুঝে নেব,’ হুঙ্কার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷