নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, সবমিলিয়ে ১০৮টি পুরসভার ২২৭৬টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল৷ এর মধ্যে চারটি পুরসভার ১০৫টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় শাসক দল৷ একটি ওয়ার্ডে পুনর্নিবাচন হবে৷ ফলে সবমিলিয়ে ২১৭০টি ওয়ার্ডের ফলাফল এ দিন প্রকাশিত হয়েছে৷
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে বাঙালির প্রিয়তম রেস্তরাঁর মালিকের দলই বাজিমাত করল পুরভোটে, কে এই অজয়!
advertisement
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া সর্বশেষ ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ২১৭০টির মধ্যে ১৮৬২টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ বিজেপি জিতেছে ৬৩টি ওয়ার্ডে৷ বামেরা জয়ী হয়েছে ৫৬টি আসনে৷ কংগ্রেসের প্রাপ্তি ৫৯টি আসন৷ বাম, বিজেপি, কংগ্রেস যেখানে সেঞ্চুরির থেকে অনেক দূরে থেমেছে, সেখানে নির্দলরা জয়ী হয়েছেন ৮৯টি আসনে৷ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, নির্দলদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯১৮৷
নির্বাচনের আগে তৃণমূলের তরফে বার বারই নির্দল প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়েছিল৷ এমনও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, নির্দলরা প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে ভোটের পরে তাঁদের দলে ফেরানো হবে না৷ তা সে নির্দলরা জিতুন অথবা হারুন৷
আরও পড়ুন: ভোট শতাংশের হারে বিজেপিকে পিছন ফেলল বামেরা, তাহেরপুর নিয়েও উচ্ছ্বাস
এ দিন অবশ্য ফল ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্দলদের বিষয়টি দলের রাজ্য কমিটি বিবেচনা করবে। একেই নির্দলদের প্রতি দল তৃণমূলের নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তার অবশ্য যথেষ্ট কারণও রয়েছে৷
ভোটের ফল অনুযায়ী রাজ্যের চারটি পুরসভা ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে৷ এর মধ্যে চাঁপদানিতে দশটি আসনে জিতেছেন নির্দলরা৷ ঝালদা, এগরাতেও বোর্ড গঠনে নির্দলদের সাহায্য প্রয়োজন তৃণমূলের৷ মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাতেও চারটি আসনে জিতেছেন নির্দলরা৷ এই পুরসভাটিও ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে৷
এই পুরসভাগুিলতে বোর্ড গড়ার চাবিকাঠি নির্দলদের হাতেই রয়েছে৷ ফলে চাইলেও তাদের উপেক্ষা করা সম্ভব নয় শাসক দলের পক্ষে৷ শুধুমাত্র দার্জিলিং এবং নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভাই তৃণমূলের কাছে অধরা থাকছে৷ কারণ এই দুই পুরসভা একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে দখল করেছে হামরো পার্টি এবং বামেরা৷