তিনি বলেন, ‘‘সব বিল আলোচনায় আনা হচ্ছে। দু’ঘন্টা আলোচনা হচ্ছে, পাশ হয়ে যাচ্ছে। স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলোর কাছে কিছু যাচ্ছে না কেন? তারাও তো আছে! পাওয়ার সেক্টর নিয়ে আলোচনা হয় না। এরা কাউকে পয়সা দিতে পারে না। বকেয়া খুব খারাপ।’’
সেখানে রাজ্যের ঋণের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি৷ বারবার বলেন রাজকোষে টান পড়ছে বর্তমান সরকারের নীতির কারণে৷ ঋণের বোঝা নিয়েও বলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের উপর ঋণের বোঝা অকারণ বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার৷ ঋণ বাড়ানোর জন্য জ্বলন্ত ইচ্ছে কেন? কারণ ভাণ্ডার শূন্য। বারবার সিএমও বলেছেন এ কথা, আর্থিক উন্নয়নে পিছিয়ে এ রাজ্য। ১ লক্ষ ২১ হাজার ২৬৭ টাকা মাথাপিছু আর্থিক বোঝা।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৩৮৪২ টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে তৎপরতা! নবম- দশমের তালিকা পাঠাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
আরও পড়ুন: ধর্মতলায় বাম ছাত্র-যুবদের 'ইনসাফ' সভা ঘিরে শহরজুড়ে উত্তেজনা! স্তব্ধ একাধিক রাস্তা
ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিক আর পরিযায়ী অসুস্থ রোগীদের দেখে আমি ‘এগিয়ে বাংলা’র অবস্থা দেখতে পাই। এটা আসলে সামগ্রিকভাবে দুর্নীতির বিস্তার৷ এখানে এসেই প্রথম শুনি, চাকরি চুরি হচ্ছে৷ রাজ্যে যে অবস্থা চলছে তাতে কিছুদিন পর দেখা যাবে পেনশন দিতে পারছে না সরকার৷’’
সেই সময় পাল্টা আওয়াজ উঠলেও কথা টেনে নিয়ে তিনি চাকরি, বেকারত্ত্বের প্রসঙ্গেও নিয়ে যান, তাতেই পাল্টা জবাব দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘কেউ চপ ভেজে রোজগার করলে তাঁকে ছোট করবেন না৷ আপনাদের রিসর্টে বৈঠক হয়। কোটি টাকা খরচ। যাঁরা চপ ভাজেন, বিক্রি করেন, তাঁদের হীনমন্যতায় ফেলবেন না৷ চাকরি চুরি করলে তাঁর উপযুক্ত শাস্তি হবে৷ কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের টাকা দেয় না। বাংলার ভালো চাই যখন বলছেন, তখন কেন বাংলার জন্য কেন্দ্রকে বলছেন না? রাজ্যের বঞ্চনার কথা বলুন কেন্দ্রের কাছে।’’
আবীর ঘোষাল
