করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা এবং আইসিএমআর-এর সর্তকতার কথা উল্লেখ করে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি এই চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, উৎসবের মরসুমে আসছে, তাই সতর্ক থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে ভিড় এড়াতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। চিঠিতে একইসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৫ থেকে ১৫ অক্টোবর দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে স্থানীয় জেলা এবং রাজ্য প্রশাসন যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। গণেশ চতুর্থী, জন্মাষ্টমীতেও বিধিনিষেধ বহাল সহ সাবধানতা অবলম্বনের একাধিক নির্দেশিকা সহ রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
advertisement
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৯ অগাস্ট মহরম এবং দুর্গাপুজো শুরু ১৫ অক্টোবর থেকে। অর্থাৎ, চলতি মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে উৎসবের মরশুম। এই পরিস্থিতিতে এখনও শেষ হয়নি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, অগাস্টেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউও। আর পুজোর সময় তা শীর্ষে পৌঁছতে পারে। এমতাবস্থায় উৎসবের মরশুমে দরকার বাড়তি সর্তকতা। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ প্রতিটি রাজ্যকে এই মর্মেই চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আইসিএমআর ও এনসিডিসি-র তরফে জানানো হয়েছে উৎসবের মরশুমে জমায়েত হলে তা নতুন করে সুপার স্প্রেডারে পরিণত হতে পারে।
দেশে এখনও চিন্তার বিষয় ডেল্টা প্লাস প্রজাতির ভাইরাস। প্রসঙ্গত, গতকাল পর্যন্ত ৮টি রাজ্যে 'আর ফ্যাক্টর' (R-Factor) ছিল ১-র উপরে। অর্থাৎ, এতেই স্পষ্ট, এই প্রজাতি কতটা সংক্রামক। পশ্চিমবঙ্গে 'আর ফ্যাক্টর' এখন ১। দুর্গাপুজো নিয়ে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। গতবার হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়ন্ত্রিতভাবে পুজো আয়োজন করেছিলেন উদ্যোক্তারা। এবারও ১৪ দফা কোভিড বিধি তৈরি করেছে ক্লাবগুলির ফোরাম। তবে পুজো কীভাবে হবে, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
