আরও জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ ডিভিশনে রেল কর্মীদের মধ্যে সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। হাওড়া ডিভিশনেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় কতদিন ঠিকঠাক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে রেলে। আজকের সিদ্ধান্তের আগেই শিয়ালদহ ডিভিশনে বাতিল লোকাল ট্রেনের সংখ্যা ছিল ১০৮ টি। পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হচ্ছে, যাত্রীও ক্রমাগত কমছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রেন চালানো কার্যত মুশকিল হয়ে পড়েছে। সেই সূত্রেই আরও ৫৪ জোড়া লোকাল ট্রেন কমানো হল।
advertisement
তবে, শুধু লোকাল ট্রেন নয়, করোনার কোপে পড়েছে স্পেশ্যাল ট্রেনও। ৪ মে থেকে বাতিল হচ্ছে বেশ কিছু স্পেশ্যাল ট্রেন। ওই ট্রেনগুলি হল, আপ এবং ডাউন হাওড়া-বোলপুর শান্তিনিকেতন, ভাগলপুর-মুজফ্ফরপুর, আসানসোল-দীঘা, আসানসোল-টাটানগর, শিয়ালদহ-আসানসোল, হাওড়া-সিউড়ি ও নবদ্বীপধাম-মালদা টাউন। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ওই ট্রেনগুলি। পূর্ব রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে, তার মধ্যে পরিচালনগত অসুবিধার কারণেই বাতিল করা হচ্ছে এই ট্রেনগুলি।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেলের ৭০টি হাসপাতালও জায়গা হচ্ছে না আক্রান্ত রেলকর্মীদের। কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউও আছড়ে পড়েছে রেল পরিষেবাতে। গত বছর, প্রথম করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের পরও দীর্ঘ দিন বাতিল ছিল রেল পরিষেবা। স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করা হলেও দীর্ঘ দিন যাত্রীদের জন্যে বন্ধ ছিল পরিষেবা। সেই পরিষেবা পুরোদমে চালু করা হলেও দ্বিতীয় ঢেউতে প্রবলভাবে ধাক্কা খেল ভারতীয় রেল।
