সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার মারিশদা থেকে কর্মসূচি শুরু করেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গ্রামে গ্রামে গিয়ে শোনেন সাধারণের অভাব-অভিযোগ। বিজেপির এই গৃহ সম্পর্ক অভিযানের নেতৃত্বে দলের যুব মোর্চা। সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে এদিন অংশ নেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে প্রথম দফার গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু হয়। মোট তিন দফায় হবে বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযান। বিজেপি সূত্রের খবর, ১৮০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের গ্রামে গ্রামে যাবেন পদ্মের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
advertisement
আরও পড়ুন - Imd Weather Alert: আবহাওয়ার তুলকালাম, কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, কোথাও নজিরবিহীন গরম, রইল আপডেট
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘'যুব মোর্চার নেতৃত্বে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু হয়েছে। আমাদের যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যও পশ্চিমবঙ্গে আসবেন গ্রামের মানুষের হাল হকিকত জানতে। আমাদের লক্ষ্য, গ্রাম বাংলার সব মানুষের গৃহে পৌঁছনো।’’ সোমবার মারিশদার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পুজো দিয়ে দলের গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করেন বঙ্গ বিজেপির সেনাপতি সুকান্ত মজুমদার। গত ডিসেম্বরে এই মারিশদায় যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ শুনে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। সেই মারিশদা থেকেই গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু বিজেপির।
আরও পড়ুন - Best FIFA Men's Player Award: প্যারিসে সেরা হলেন মেসি, ফিফার বর্ষসেরা অনুষ্ঠানের ফটো অ্যালবাম
সুকান্তর কথায়, 'ভাইপো'র ওটা স্টান্টবাজি ছিল। উনি শুধু একটি গ্রামে এসে এসব স্টান্টবাজি করেছেন। আমরা চেষ্টা করব পশ্চিমবঙ্গের সব গ্রামে যাওয়ার। আমাদের যুব মোর্চা যাবে এবং সবার কথা শুনবে'। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে জোড়াফুল শিবিরের পাশাপাশি ময়দানে বিজেপিও। গৃহ সম্পর্ক অভিযানে তারা এবার ঘরে ঘরে। তবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে আদৌ রাজনৈতিকভাবে কতোটা লাভবান হয় গেরুয়া শিবির তার উত্তর দেবে সময়ই। পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটকে সেমিফাইনাল আর ফাইনাল ম্যাচ হিসেবে দেখছে বঙ্গ বিজেপি। তাই দুই নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই দুই ফুল শিবিরের টক্করে জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি।
Venketeswar Lahiri