দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ বদলি ট্রান্সফার অন স্পেশাল গ্রাউন্ডের মাধ্যমে বদলির প্রক্রিয়া বন্ধ পড়েছিল। অবশেষে তা ফের শুরু করল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশের চিঠি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠানো হলেও পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের অসুস্থতার কারণে সেই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে পড়েছিল। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চন্দ্র মান্নাকে নিয়ে আসার পর পরেই বদলি প্রক্রিয়া আবার শুরু হল।
advertisement
গত সপ্তাহে প্রায় ৪৪৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী এবং প্রধান শিক্ষকের বদলির নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চন্দ্র মান্না। ইতিমধ্যেই ইমেইল মারফত প্রশাসনের তরফে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয় জেলার দিদেরো অর্থাৎ স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের এই বিষয়ে পর্ষদের তরফে ইমেইল পাঠানো হয়েছে বলেও পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে শিক্ষকদের বদলির নিয়োগের বিষয় নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চন্দ্র মান্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি ৷ এমনকি ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি ৷
যদিও এই বদলির নির্দেশিকা জারির পর পরেই বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মূলত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে তারা এই বদলির কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। বেশিরভাগ শিক্ষক সংগঠনের অবশ্য বদলির ক্ষেত্রে দূরত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছেন। শুধু তাই নয়, কলকাতাতে যেখানে ছাত্র-ছাত্রী অনেক সেখানে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কলকাতাতেই বদলি করে আনা হয়েছে জেলা থেকে বলেও অভিযোগ তুলছেন শিক্ষক সংগঠনগুলি। কলকাতাতেই ২৫ থেকে ৩০ জন প্রধান শিক্ষক বদলি হয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে বলে দাবি করছে একাধিক শিক্ষক সংগঠন। বদলি প্রক্রিয়া নির্দেশিকা জারি হলেও অনেক শিক্ষক শিক্ষিকার বাড়ির কাছাকাছি স্কুল পায়নি বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয় শিক্ষক সংগঠন গুলির তরফে আরও অভিযোগ আনা হয়েছে যে স্কুলগুলি থেকে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি করে নিয়েছে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ নিয়েও নজর রাখা উচিত ছিল বলেই মনে করছে শিক্ষক সংগঠন গুলির একাংশ সদস্যরা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়