প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবাঞ্জন কাণ্ডে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই দেবাঞ্জনের কার কার সাথে যোগাযোগ ছিল সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইন্দ্রাণী অবশ্য বলছেন দল গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত। যা যা হচ্ছে দল সবটাই নজর রাখছে। তাই দল যদি কোনও নির্দেশ দেয় বা তদন্ত করতে বলে তাহলে তিনি প্রস্তুত। তবে তালতলার মানা ওরফে অশোক চক্রবর্তী অবশ্য জানাচ্ছেন তাকে রাজনৈতিক ভাবে খারাপ প্রতিপন্ন করতেই ইন্দ্রাণীর সহযোগীরা এই সব করে যাচ্ছে। তাই তিনিও দ্বারস্থ হচ্ছেন আইনের। তিনি উচ্চ আদালতে অবধি যেতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে রবিবাসরীয় রাত অবধি সরগরম ছিল তালতলা লাইব্রেরি চত্বর।
advertisement
এরই মধ্যে বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় দেবাঞ্জন কাণ্ডে থানায় যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাতে মানা ওরফে অশোক চক্রবর্তীর নাম জুড়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে উত্তর কলকাতা জুড়ে। তবে যে সমস্ত ব্যক্তিদের চাকরি দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন তালতলা চত্বরে তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। অশোক চক্রবর্তীর অভিযোগ, ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ক্লাবের সদস্যদের দেওয়া হয়েছিল দৈনিক ৪০০-৮০০ টাকা বা মাসিক ১৬ হাজার টাকার চাকরি। চাকরি দিতে চেয়ে ফর্ম পাঠিয়েছিলেন মানা ওরফে অশোক চক্রবর্তীর কাছে। তবে সেই ফর্ম ফিল আপ হয়ে কোথায় গেল? খুঁজে দেখছেন তদন্তকারীরা।