মন্ত্রকের পরামর্শে Arsenicum album 30 নামের হোমিওপ্যাথি ওষুধের কথা বলা হয়েছে। এই ওষুধটি পরপর তিনদিন খালি পেটে দিনে একবার কয়েকটি বড়ি বা দু'তিন ফোটা করে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে বলে আশাবাদী চিকিৎসকেরা। পরপর তিনদিন খাওয়ার আবার একমাস পর একই নিয়মে খেতে হবে এই ওষুধ। আয়ুষ মন্ত্রকের পরামর্শে এমনটাই জানানো হয়েছে। সেখানে আরও জানানো হয়েছে, ফুসফুসের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্যই এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস যেহেতু ফুসফুসে সরাসরি আক্রমণ করে, তাই এই ওষুধ খেলে ভাল ফল মিলতে পারে বলেই আশাবাদী মন্ত্রক।
advertisement
আয়ুষ মন্ত্রক থেকে সম্প্রতি আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ হিসেবে হোমিওপ্যাথি এই ওষুধের নাম ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই উপচে পড়া ভিড় বিভিন্ন হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকানে। কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের নামকরা এক হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকানের বিক্রেতা নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, "আগে এই ওষুধের বিক্রি খুব কম ছিল। সরকার ঘোষণা করার পর থেকে প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। রোজ একশোর বেশি ওষুধ বিক্রি করছি। চাহিদা মেটানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। অনেকে নিজের জন্য কিনছে আবার বাড়ির জন্যেও নিয়ে যাচ্ছে।"
বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডাক্তার সুনির্মল সরকার বলেন, "আয়ুষ মন্ত্রক কোথাও বলেনি Arsenicum album 30 করোনার উপরেই কাজ করবে। এই ওষুধ মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রথাগত চিকিৎসায় এই ভাইরাসের কোনও ওষুধ নেই এটা ধ্রুব সত্য। যে কারণে WHO কোনও নির্দেশিকা দিতে পারেনি। তবে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে হোমিওপ্যাথিতে ভালো ফল মিলেছে। তবে Arsenicum album 30 ছাড়াও হোমিওপ্যাথিতে আরও অনেক ওষুধ আছে যা করোনা মোকাবিলায় ভালো কাজ দিতে পারে।"
তাঁর মতে, হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি একসঙ্গে কাজ করলে হয়তো আরও বেশি মানুষকে সুস্থ করা যাবে। তবে প্রথম থেকেই যদি হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা করা হয় তাহলে ফল ভালো হবে। তাঁর দাবি, ভাইরাস মারা নয়, হোমিওপ্যাথি এমনভাবে চিকিৎসা করে যাতে মানুষের শরীরে এমন ক্ষমতা তৈরি হয় যাতে সে নিজের জীবনীশক্তি দিয়ে লড়াই করে জিতে আসতে পারে