কালীপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য প্রত্যেকটি জেলার এসপি, আইসি, ডিআইজি, আইজি পদমর্যাদার অফিসারদের ইতিমধ্যেই বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যে স্বরাষ্ট্র দফতর।যাতে সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ঘাটগুলিতে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে বিভিন্ন জেলা পুলিশের এসপিদের। কালীপুজোর সময় ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা ছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। যদিও তা কেটে গেলেও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় নবান্ন।
advertisement
অন্যদিকে বিসর্জন-প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব কালী পুজোর বিসর্জন ও ছটপুজোকে কেন্দ্র করে যাতে ঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানো হয় তার জন্য প্রত্যেকটি জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশও দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জলপাইগুড়ির মালবাজারের বৈঠক থেকেও একই বার্তা রেখেছেন। গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন "বিসর্জনের সময় এবার খেয়াল রাখতে হবে। আপনারা সবাই একটি নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে ছট পুজোর কাজ করবেন।" প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব গত সপ্তাহে ভিডিও কনফারেন্স করে প্রত্যেকটি ঘাটে যাতে নজরদারি চালানো হয় সেই বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : সিত্রাং-এর পর কেমন আছে দিঘা, আজ কি সমুদ্রে নামতে পারবেন পর্যটকরা, দেখুন সৈকতনগরীর ছবি
সেচ দপ্তরের আধিকারিকদেরও বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। বিশেষত যাতে বিসর্জন চলাকালীন সময় সেচ দফতরের আধিকারিকরা কন্ট্রোল রুম খোলেন এবং বিভিন্ন সময় বান আসার সময় যাতে সঠিকভাবে নজরদারি চালানো হয় এবং আগাম পূর্বাভাস পাওয়া যায় তার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেন সেচ দফতরের আধিকারিকদের। যদিও জলপাইগুড়ির মাল নদীতে হড়পা বানে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে এই ধরনের বানের পূর্বাভাস আগে থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন : সিত্রাংয়ের জের, কালীপুজোয় মহানগরে বায়ু দূষণের মাত্রা নেই
তবে এ বার কালীপুজোর বিসর্জন ও ছট পুজোকে কেন্দ্র করেও তাই আগাম সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নিতে চলেছে নবান্ন। গত শনিবারই ভার্চুয়াল বৈঠক করে বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে জেলাশাসকরা যাতে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নজরদারি করেন সেই বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। ফলত রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে এই নির্দেশকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজ্যের প্রশাসনিক মহল।