এই অবস্থায় খোদ নগরায়ণ মন্ত্রীর কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ যার ফলে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে তিনি নিউজ18 বাংলাকে জানিয়েছেন, ‘‘সাধারণ মানুষের কাছে আমার আবেদন এই ভাবে জমি বিক্রি করা হয় না ৷ সরকারি জমি বিক্রি করতে হলে নির্দিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় ৷ অথবা অনেক জমি এক লপ্তে বিক্রি করতে গেলে মন্ত্রীসভার অনুমোদন নেওয়া হয় ৷ তারপরেই সেই জমি বিক্রি করা হয়। ফলে কেউ যদি এসে বলে সরকারি জমি বিক্রি আছে তাকে বিশ্বাস করবেন না ৷’’
advertisement
হিডকোর প্রাইম লোকেশনে থাকা কোন জমি এখনও ফাঁকা আছে, সেগুলি তালিকাভুক্ত করেই ক্রেতাদের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল তারা। কেএমডিএ-র জমি বিক্রির ক্ষেত্রেও একই ভাবে তালিকা বানিয়েছে বলে তদন্তকারীদের কাছে খবর। গোয়েন্দাদের দাবি, হিডকো এবং কেএমডিএ-র জমি বণ্টন বিভাগে ওই চক্রটির গভীর যোগাযোগ না থাকলে কোনওমতেই এই তালিকা তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই চক্রের পাণ্ডাদের সঙ্গে যুক্তদেরও গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। তদন্তকারী গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, হিডকোর শীর্ষকর্তাদের অজ্ঞাতেই এমন জমি কেলেঙ্কারি ঘটেছে।
আরও পড়ুন- ওয়েবেল এবং ডব্লুটিএল নিয়ে আজ বড় দুর্নীতির পর্দাফাঁস শুভেন্দুর ?
দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক অবশ্য জানাচ্ছেন, হিডকোর জমি কোথায়, কতটা আছে তার তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। সেখান থেকেই জমির খোঁজ পাওয়া যায়। তবে কাগজ যে ভাবে জাল করা হয়েছে তা দেখে অবাক দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা।