কলকাতার বেআইনি কল সেন্টারে সিআইডি অভিযান চালিয়ে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে।গত ১২ মে রাতে শহর জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালায় সিআইডি।মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে ৩৯ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগে শহর জুড়ে তল্লাশি করে সিআইডি। লালবাজারে ঢিল ছোড়া দূরত্বতে আর এন মুখার্জী রোড,পার্ক স্ট্রিট সহ মোট পাঁচটি কল সেন্টারে অভিযান চালায় সিআইডির সাইবার ক্রাইম আধিকারিকরা ও পুরুলিয়া সিআইডি ডিডি ডিপার্টমেন্টর আধিকারিকরা। ঘটনায় মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
advertisement
সিআইডি সূত্রে খবর, পুরুলিয়ার কেন্দাতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, বাড়িতে মোবাইলের টাওয়ার বসানো নাম করে ৩৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। একাধিক নম্বর থেকে প্রতারিতকে ফোন করা হয়েছিল। এরপর পুরুলিয়া সিআইডি ডিডি তদন্ত নেমে ভবানী ভবনে সিআইডি সাইবার ক্রাইম বিভাগে গোটা বিষয়ে জানায়। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিআইডি ও পুরুলিয়া ডিডি যৌথ উদ্যোগে তল্লাশি চালায় পার্কস্ট্রিট ও লালবাজারের কাছে আর এন মুখার্জী রোডে। উদ্ধার হয়, ৩০ লক্ষ টাকা, মোবাইল, ল্যাপটপ, বিভিন্ন নথি। পাঁচটি বেআইনি কল সেন্টারের মালিক সহ কুড়ি জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। আরএন মুখার্জী রোডে তৃতীয় তলায় 318 c অফিসে বেআইনি কল সেন্টার সিল করে সিআইডি ও পুরুলিয়া ডিডি। এমনকি চারতলায় 420 নম্বর অফিস বেআইনি কল সেন্টার সিল করেছে সিআইডি।
আরও পড়ুন Bowbazar Tragedy: সোমবারই শুরু দুর্গা পিতুরি লেনের দুটি বাড়ি আংশিকভাবে ভাঙার কাজ
এরকম মোট পাঁচটি বেআইনি কল সেন্টারকে সিল করেছে সিআইডি ও পুরুলিয়া ডিডি। কীভাবে এই বেআইনি কল সেন্টার দিয়ে প্রতারণা চলছিল? গত এক বছর ধরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এই কল সেন্টার থেকে ফোন করে প্রতারণা চক্র চলতো বলে অভিযোগ। সিআইডি এবার সেই ঘটনায় আরও এক মহিলাকে গ্রেফতার করল। অন্য অফিসের খোঁজ করলে যাতে সব প্রমান লোপাট করে ফেলা যায় সেই কাজ করেছিল ওই মহিলা, দাবি সিআইডির।
ARPITA HAZRA