ঘটনার তদন্তকারী অফিসার আদালতে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছি। দেখছি কোনও ভিডিও করা হয়েছে কি না? করে কোথাও শেয়ার করেছে কি না।’’ সরকারী আইনজীবী আদালতকে অভিযুক্তকে প্রভাবশালী বলে দাবি করেন। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘‘অভিযুক্ত এতটা প্রভাবশালী যে সমস্ত নিরাপত্তা রক্ষীকে প্রভাবিত করে তরুণীকে ভিতরে নিয়ে গিয়েছেন। আমরা আশঙ্কা করছি ভিডিও করা হয়ে থাকতে পারে।’’ ঘটনার ভিডিও করা হয়ে থাকতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ সরকারী আইনজীবীর।
advertisement
পুলিশ সূত্রে এফআইআরে উল্লেখ্য রয়েছে, যে হস্টেলের কথা বলছে লেক ভিউ, সেখানে পৌঁছাতে গেলে একাধিক নিরাপত্তারক্ষী হয়ে যেতে হয়। এমনকি হস্টেলে ঢোকার ক্ষেত্রে অনুনতি নিতে হয়। তবে এক্ষেত্রে এমন কিছু করতে দেওয়া হয়নি। প্রশ্ন উঠছে একজন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নিরাপত্তা এড়িয়ে করতে পারল এই কুকীর্তি?
নির্যাতিতাকে পানীয়ের খাইয়ে অচৈতন্য করার অভিযোগ। অভিযোগে বলা হয়েছে, খাবার খাওয়ার পর বমি ভাব আসে। ওয়াসরুমে যেতে চাইলে দেওয়া হয়নি। প্রথমে জোর করে শারীরিক হেনস্থা এবং পরে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে গেলে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু এখানেও প্রশ্ন উঠেছে সময় নিয়ে। এফআইআর অনুযায়ী, ১১:৪৫ থেকে ৮ টা ৩৫ পর্যন্ত ওখানে ছিলেন। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ৮:৩৫ তে হরিদেবপুর থানা ইনফরমেশন পেল, গণ্ডগোল সময় নিয়ে।
আরও পড়ুন: প্রস্রাবে কি তৈরি হচ্ছে ফেনা? খুব সাবধান, কী দশা হয়েছে কিডনির? শরীরে দানা বেঁধেছে কোন মারাত্মক রোগ
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সুব্রত সর্দার অভিযুক্তের নাম প্রকাশ না করার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আদালতে জানান, ‘‘আমার কোর্টের কাছে অনুরোধ যাতে আমার মক্কেলের নাম প্রকাশ না করা হয়। উনি এমবিএ ছাত্র। ভবিষ্যত রয়েছে। ভিকটিমের নাম যেমন দেওয়া নেই। তেমন অভিযুক্তর নাম প্রকাশ না করা হয়।’’ নির্যাতিতা তরুণীর গোপন জবানবন্দি ও মেডিকো লিগ্যাল টেস্টের জন্য আবেদন
করা হয়েছে। অভিযুক্তর মেডিকো লিগ্যাল টেস্টের আবেদন করল পুলিশ। ধর্ষনের ধারাতে মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি জোর করে আটকে রাখা, বলপূর্বক একজন মহিলাকে হেনস্থা এবং মারধরের ধারাতেও মামলা করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ২৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন করছে কলকাতা পুলিশ।