পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় নিজের নাম লিখে সই করে ক্যাম্পাসে ঢুকেছিলেন। একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী, হস্টেল সুপার-সহ বেশ কয়েকজনের বয়ান রেকর্ড করছে পুলিশ। পুলিশের নজরে ধৃত ছাত্রের তিন বন্ধুও। তরুণীকে খাবারের সঙ্গে পানীয় খেতে দেওয়া হয়েছিল। সেই পানীয় খাওয়ার পর ঝিমুনি ভাব এসেছিল। ঘটনাস্থল থেকে সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফরেন্সিকে পাঠানো হবে, কী মেশানো হয়েছিল জানতে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে অচৈতন্য করে…ধ*র্ষণের অভিযোগ! কসবার পর এবার IIM জোকা, আটক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র
সূত্রের খবর অনুযায়ী, হরিদেবপুর থানায় অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসা বাদে যে তথ্যগুলো জানতে চাইছে পুলিশ।
তরুণী কি অভিযুক্তের পূর্ব পরিচিত? পরিচয় থাকলে কিভাবে হয়েছিল? কোথায় হয়েছিল?
পরিচিত না হলে কী কারণে বয়েজ হোস্টেলের ঘরে গেল তরুনী?
কী খাবার এবং কী ধরনের মাদক মেশানো হয়েছিল পানীয়তে?
অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পড়ুয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
অভিযুক্ত হস্টেল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গতকাল কাদের কাদের সঙ্গে দেখা করেছিল সেই তথ্য সংগ্রহ করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
অভিযোগকারীর বয়ানের সঙ্গে সেই তথ্য মেলানোর কাজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রস্রাবে কি তৈরি হচ্ছে ফেনা? খুব সাবধান, কী দশা হয়েছে কিডনির? শরীরে দানা বেঁধেছে কোন মারাত্মক রোগ
সূত্রের খবর, তরুণীকে বয়েজ হোস্টেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রের বিরুদ্ধে। তরুণী অভিযোগ করেছেন বয়েজ হোস্টেলে নিয়ে যাওয়ার সময় কোনও ভিজিটর রেজিস্টরেও তাকে সাইন করানো হয়নি। হোস্টেলে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে ঠান্ডা পানীয় খাওয়ায় অভিযুক্ত। সেই পানীয় খাওয়ার পর আচ্ছন্ন হয়ে পরে তরুণী।
তারপর তার উপর যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। মেয়েটি সজ্ঞানে আসার পর প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানায় যায় বলে খবর। কারণ এটিই ছিল ক্যাম্পাসের কাছে। পরে সেখান থেকে তাকে হরিদেবপুর থানায় পাঠানো হয়। মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ছাত্র বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। ২০২৪ সালের জুন মাসে আইআইএম ক্যালকাটায় (IIM Calcutta) ভর্তি হয়। ২০২৬ সালে এমবিএ কমপ্লিট হওয়ার কথা ছিল তার। অভিযুক্ত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কলেজে মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে ৯১%-এরও বেশি মার্কস পায়।
বিশ্বজিত্ সাহা