কিন্তু দিল্লির মত এখানেও নিয়ম হয়েছে , পুজোর টাকা যে পুজো কমিটি নেবে , তাদের মণ্ডপের বাইরে মোদির ছবি লাগাতে হবে। দিল্লিতে পুজোর জন্য ১২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ফ্রি করেছে বিজেপি সরকার । তার বদলে শর্ত হল , পুজো মণ্ডপে মোদির ছবি রাখতে হবে । যা নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু হয়েছে । এবার বাংলাতেও বিজেপি সেই পথে হাঁটল ।
advertisement
বিজেপির এক নেতার মতে , ‘এটা কোনও অন্যয় নয় । সরকার টাকা দিলে যদি পুজো কমিটি গুলো মমতা আর অভিষেক ছবি রাখতে পারে, তবে বিজেপি টাকা দিলে মোদির ছবি রাখার অসুবিধা কোথায়? সামনে বিধানসভা নির্বাচন , তাই পুজোর আবেগ, জনসংযোগ ধরতে তৃণমূল , বিজেপি দুদলই পথে নেমেছে। তারই অঙ্গ হল পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া। প্রশ্ন উঠেছে বাঙালির আবেগের পুজো কি এখন কৌলিন্য হারিয়ে রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হয়ে গেল ?
আরও পড়ুন-‘দেহব্যবসা করে অকালে জীবনটাই শেষ…! স্বামীর নরকযন্ত্রণায় ৩৪-এ মৃত্যু বিখ্যাত বলি নায়িকার, শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার ছিল না কেউ, চিনতে পারলেন?
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোয় প্রতিবারই শাসকদল দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান দিয়ে থাকে। এবছর ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে থাকে। এবার শাসক দলের পাশাপাশি বিজেপিও অনুদান দিতে প্রস্তুত। যেখানে রাজ্যের আর্থিক অনুদানের বিরোধিতা করলেও, সেই পথেই হাঁটতে চাইছে গেরুয়া শিবির। যেখানে যে যে ক্লাব গুলিকে এই আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, তাদের কলকাতা থেকে সেই অনুদান তুলে দেওয়া হবে। আর এর দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি নেতা তথা বিশিষ্ট অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বছর ঘুরলেই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন। দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করে বাঙালি অস্মিতাকে ধরতে চাইছে বিজেপি।