বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘খাদ্য আন্দোলন জরুরি অবস্থা কিংবা ভারত ছাড়ো আন্দোলনে জেলখাটা মানুষরা যদি স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্বীকৃতি পেয়ে পেনশন পেতে পারেন তাহলে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেমেও যারা নবান্ন অভিযানে নেমে জেল খাটলেন তারাও সংগ্রামী ভাতা পাওয়ার যোগ্য। তাই বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সেই ভাতা চালু করা হবে।’’
advertisement
সম্প্রতি ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিশের তরফে যাদের গ্রেফতার করা হয়, তাদের আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে জেল মুক্তি হওয়ার পর সেই সমস্ত নাগরিকদের বুধবার আইসিসিআর-এ সংবর্ধনা জানান শুভেন্দু। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েও শুভেন্দু দাবি করে বলেন, ‘‘ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে যাদেরকে আটক ও গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদেরকে নবান্ন অভিযানের কনসপিরেটর কে? নবান্ন অভিযানে কে আসতে বলেছিল? নাম বলুন? পুলিশের তরফে এমনই সব প্রশ্ন করা হয়েছিল আন্দোলনকারীদের।’’
আরও পড়ুন– দক্ষিণ থেকে উত্তর, কোথাও ভারী আবার কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, ‘‘বিনীত গোয়েল, আপনাকে বলছি শুভেন্দু অধিকারী বলেছিল আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানে আসতে। কী করবি কর। কিছু করার থাকলে কর।’’
গত মাসে নবান্ন অভিযানে যারা গ্রেফতার হয়েছিল তাদের জেল থেকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়ার পর বুধবার আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সেই সমস্ত নাগরিক সমাজের মানুষজনকে সম্বর্ধনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখার সময় কথা প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘আমার বাড়ির লোক আট বছর ব্রিটিশ জেলে ছিল। নাম বিপিন বিহারী অধিকারী। তাই আমাদের ধমক দিয়ে লাভ নেই।’’
নবান্ন অভিযানে ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী-সহ অন্যান্য যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিলূ, তাদের পাশে প্রথম থেকেই থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি, ‘‘১৯৮ জনকে আইনি সাহায্য দেওয়ার মাধ্যমে জেল থেকে মুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের দেওয়া মিথ্যে মামলায় বাকি যারা এখনও জেলবন্দি রয়েছেন তাদেরও যাতে শীঘ্রই জেলমুক্তি হয় তার জন্য আমরা আইনি লড়াই চালাচ্ছি।’’