প্রণববাবু ট্যুইটারে লিখলেন, 'একজন বিধায়ক, সাংসদ ও দু বারের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র রাজ্য রাজনীতিতে একটি বিরাট ছাপ রেখে গেলেন৷ লৌহ মানব, সর্বদা বৃহত্তর ছবিটা দেখতে পেতেন৷ আমি আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধু ও সহকর্মীকে হারালাম৷'
সোমেন মিত্র শিয়ালদহ আসন থেকে একাধিকবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিয়ালদহ বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন সোমেন মিত্র৷ তারপর পরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ২০০৯ সালে৷ ২০০৭-০৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে প্রথমে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গঠন করেছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ২০০৯ সালে সোমেন মিত্র ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদও হন। পরে আবার ফিরে আসেন কংগ্রেসে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হন। কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের প্রিয় ছোড়দার আকস্মিক প্রয়াণে রাজ্য রাজনীতিতে শোকের ছায়া।
'ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে উনি মনে থাকবেন,' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে এ ভাবেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি৷ বৃহস্পতিবার সকালে রাহুল গান্ধি ট্যুইটারে লেখেন, 'সোমেন মিত্র মনে থাকবেন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে ৷ সোমেন মিত্রের পরিবার ও পরিজনের পাশে আছি এই কঠিন সময়ে ৷'
বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের ৷ রাত ১টা ৫০ নাগাদ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷
সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও ৷ ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, 'প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি খানিকক্ষণ আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন৷ রাজনীতিতে বড় ক্ষতি ৷ দাদার পরিবারের প্রতি আমি সমব্যথী৷ সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে ওঁর থেকে খুবই ভাল পরামর্শ পেয়েছি বিভিন্ন ঘটনায়৷'