স্ত্রী অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে, সেই সন্দেহের বশে খুন! তদন্তে সিআইডি। কীভাবে খুন? কেন খুন? স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে শেষমেষ গ্রেফতার স্বামী।
নিহতের নাম টুম্পা মন্ডল। গ্রেপ্তার স্বামী ভোম্বল মন্ডল। সোনারপুরের বাসিন্দা টুম্পার বাবা ২০২০ সালে সোনারপুরে অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে নিখোঁজ। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- ৭২ ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টির সতর্কতা, জেলায় জেলায় প্রবল বজ্রপাতে প্রাণহানির আশঙ্কা!
advertisement
সোনারপুর থানা এর পর স্বামী ভোম্বল মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে। ২০২০ সালে এপ্রিল মাসের ঘটনা। কিন্তু কিছু দিন পর সে জামিন পেয়ে যায়। এর পর টুম্পার পরিবার হাই কোর্টে দ্বারস্থ হয়।
হাই কোর্ট সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। সিআইডি তদন্ততে অভিযুক্ত জেরায় জানায়, টুম্পা নিখোঁজ নন। নিজের স্ত্রী টুম্পাকে হত্যা করে সোনারপুরে ভাড়া বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্কার ভিতরে দেহ রেখে দিয়েছে ভোম্বল।
শ্বাসরোধ করে খুন করে টুম্পাকে। সিআইডি কেস নেওয়ার পর জামিন নাকচের জন্য ৩০২ খুনের ধারা যুক্ত হয়। সোনারপুরে সেপটিক ট্যাংক থেকে টুম্পা দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছে সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে খবর, জেরায় ভোম্বল জানায়, টুম্পা আগে একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ফিরে আসেন। অন্য ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের সন্দেহে রাগ ও প্রতিহিংসা থেকেই খুন বলে দাবি সিআইডির।
শ্বাসরোধ করে টুম্পাকে হত্যা করা হয়, সিআইডির কাছে দাবি অভিযুক্তর।সিআইডি সূত্রে খবর, ভোম্বল দিন মজুরের কাজ করে। সোনারপুরে মিলনপল্লী এলাকায় বিমল মন্ডল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ভোম্বল ও টুম্পা।
দুজনের বিয়ের পর মাঝে মধ্যে ঝামেলা চলত। ফলে স্বামী সন্দেহ করত স্ত্রীকে। সেই সন্দেহ থেকেই খুন বলে দাবি সিআইডির। এবার বারুইপুর আদালতে গিয়ে সিআইডি অভিযুক্ত ভোম্বলের জামিনের আবেদন খারিজ করার আর্জি জানাবে। যাতে ভোম্বলকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে।
দেহ সেপ্টিক ট্যাংক থেকে পাওয়া গেলে তা শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করবে সিআইডি। প্রশ্ন উঠছে সোনারপুর থানার ভূমিকা নিয়ে। কীভাবে একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পরও কিছু জানতেই পারল না তারা। গোটা বিষয়ে খতিয়ে দেখবে সিআইডি।
ARPITA HAZRA