আদৌ কি সাধারণ মানুষ এই সুযোগ পাচ্ছেন? এই মর্মে শহরের এক সহ-নাগরিক তথা মানবাধিকার কর্মী উৎপল রায় RTI করে জানতে চান কোন কোন বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে এই পরিষেবা প্রযোজ্য? সরকার থেকে কোন কোন বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে ওঠার সময় বিনামূল্যে জমি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেয়েছে? মূলত মানবাধিকারকর্মী উৎপল রায়ের উদ্দেশ্য, জনস্বার্থে সরকার যে আইন করেছে তার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত করা। মানবাধিকার কর্মী উৎপল রায়ের RTI এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন আবেদনকারী। গোটা বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আবেদনপত্রে আবেদনকারী লিখেছেন, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ নেওয়ার ক্ষমতা অনেকেরই নেই। এক প্রকার নিরুপায় হয়েই চিকিৎসা করতে তারা বেসরকারি হাসপাতালে যান। আইন কার্যকর হলে অনেক দুঃস্থ মানুষও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মত চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা করার সুযোগ পাবেন।আবেদনকারীর অভিযোগ,' আইন অনেক বেসরকারি হাসপাতালই মানছে না। ফলে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকেই। সাধারণ রোগীদের স্বার্থের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি,' এই আইন সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, তাও আমরা সরকারি এবং বেসরকারি স্তরে চিকিৎসার খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে মানবিক।’ আবেদনকারী উৎপল রায়ের বক্তব্য, 'সরকার গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে কোন কোন বেসরকারি হাসপাতাল এই আইনের আওতার মধ্যে পড়ছে সেই তালিকা প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক এবং জনস্বার্থে সংবাদমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালগুলিও যেন 'সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা' সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত প্রচার করে সেই আবেদনও করা হয়েছে আবেদনকারীর তরফে।
VENKATESWAR LAHIRI