২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে নিয়োগের জন্য মেধা তালিকা প্রকাশ করে PSC। মেধা তালিকা থেকে পাবলিক সার্ভিস কমিশন ১০৮২ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করলেও মেধাতালিকায় থাকা ২৭৬ জনকে সেই সময় নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও পরে আর ১০২ নতুন করে শূন্যপদ সৃষ্টি হয়। ১০৮২ জনের মধ্যে থাকলেও চাকুরি নেননি অনেকেই। মূলত সেচ, সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরে নিয়োগ হয় জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র সিভিল পদে। চাকুরিপ্রার্থী কৌশিক চ্যাটার্জি, সমীর দাস সহ ৫৮ জন নিয়োগের জন্য আবেদন জানায় PSC কাছে।PSC আবেদনকারীদের জানায় নিয়োগের মেধাতালিকার মেয়াদ ডিসেম্বর ২০১৭ শেষ হয়ে গেছে। তথ্য জানার অধিকার আইনে চাকরিপ্রার্থীরা জানতে পারেন, জানুয়ারি ২০১৯ একই মেধাতালিকা থেকে নতুন করে ৫৫ জনকে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়েছে।
advertisement
২০১৯ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় কোন কারণ না দেখিয়েই মামলাটি খারিজ করে দেয় SAT। সেই SAT রায় চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মামলাকারীরা।মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে কৌশিক চ্যাটার্জী সহ ৫৮ জন মামলাকারীর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান, মামলাকারীদের আবেদন না শুনেই খারিজ করে দেয় SAT। যা একতরফা, আইনবিরুদ্ধ কাজ। PSC পক্ষের আইনজীবী জানান, যোগ্য প্রার্থী না থাকায় নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী জানান, বিষয়টি PSC এক্তিয়ারভুক্ত, রাজ্যের বলার জায়গা কম।
বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের রায় খারিজ করে দিয়ে, চাকরীপ্রার্থীদের আবেদন বিবেচনার জন্য ফিরিয়ে দিয়েছে SAT -এ।৬ মাসের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের নিষ্পত্তি করবে SAT। হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছে, চলতি সময়কালে নিয়োগ হলে মামলার চূড়ান্ত রায়ের উপরেই চাকরিজীবীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।