অনেক জায়গায় আবার লেখা নো মাস্ক নো লিকার। মাস্ক ছাড়াও দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকেই। কিন্তু এই লাইন কি ছাড়া যায়। তাঁরা মদ কিনলেন বন্ধুর মাস্ক ধার করে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে সাধের মদের বোতল ব্যাগে ঢুকিয়ে তৃপ্ত অনেকেই। বললেন, অনেক দিন পর পেলাম। আজ একটু তৃপ্তি করে পান করা যাবে। এতদিন মদ বিক্রি যে হচ্ছিল না তা নয়। বিক্রি হচ্ছিল লুকিয়ে চুরিয়ে। সিল করা দোকানের পেছনের দরজা দিয়ে। কালোবাজারিতে মদ মিলছিল দেদার। তবে তার দাম ছিল অনেক বেশি।
advertisement
অভিযোগ, ৫০০ টাকার মদ বিক্রি হচ্ছিল ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকায়। তবে তার নাগাল পাননি অনেকেই।
মদের দোকান খোলার খবর ঘোষণা হয়েছিল রবিবার বিকেলে। তারপর থেকেই উৎসাহ দেখা যায় সুরাপ্রেমীদের মধ্যে। সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন পড়ে যায় শহরের বিভিন্ন মদের দোকানে। অনেক দোকানের স্টক ছিল না। চাহিদার তুলনায় যোগান ছিল সীমিত। তাই অনেকেই মদ আমদানির জন্য অপেক্ষা করেছেন।
অনেকের কাছে আবার দোকান খোলার অনুমতি পত্র এসেছে অনেক দেরিতে। সন্ধে ৭টা। তখনও মদের দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন। কোথাও তখন ১৫০, কোথাও ২৫০ মানুষের লাইন। তবে সন্ধে সাতটা বাজতেই পুলিশ গিয়ে আজকের মতো মদের দোকান বন্ধ করে দেয়। যাঁরা পাননি তারা আশাহত হয়ে বাড়ি ফেরেন। পরের দিন আবার চেষ্টা করার অপেক্ষায় তারা। মঙ্গলবার থেকে দোকান খুলবে বেলা ১২ টায়। বন্ধ হবে সন্ধে ৭টায়।