দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ প্রান্তিক স্টেশন হিসাবে সাঁতরাগাছিকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত ৩০ এপ্রিল থেকে ওই স্টেশনের রেল ইয়ার্ডে ব্যাপক রদবদল করা হচ্ছে। চার এবং পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রেললাইনকে কেন্দ্র করে ওই কর্মকাণ্ড চলছে। ওই কাজের জন্য গত ৩০ এপ্রিল থেকে ২০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বুধবারও বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-দিঘা, দিঘা-হাওড়া এবং পুরুলিয়া এক্সপ্রেস। সময়সূচি বদল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেনেরও।
advertisement
এদিনও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, চেন্নাই মেল-সহ একাধিক ট্রেনের সময় বদল হয়েছে। সাঁতরাগাছি, শালিমার-সহ একাধিক স্টেশনে যাত্রীরা চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওম প্রকাশ চরণ বলেন, ‘‘একটা সমস্যা হয়েছে। তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে আগের থেকে তা স্বাভাবিক হয়েছে অনেকটাই।’’
স্বাতী বন্দোপাধ্যায়, বেঙ্গালুরু যাবেন অফিসের কাজে। ট্রেন দেরিতে চলায় ইতিমধ্যেই ওয়ার্ক শিডিউল বদল হয়ে গিয়েছে। এরপর কী হবে তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। রেল থেকে যথাযথ ভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ তার।
আবার ভুবনেশ্বর যাবেন বলে বন্দে ভারতের টিকিট নিয়েছিলেন প্রিয়নাথ মন্ডল। সকালের ট্রেন কখন ছাড়বে তিনি জানেন না। আদৌ ছাড়বে কিনা সেটাও বুঝতে পারছে না। এই অবস্থায় তার যে কী অবস্থা হবে সেটা বুঝেই নাকাল তিনি। এভাবেই একের পর এক সমস্যার জেরে নাকাল আজও যাত্রীরা ৷