রক্তাক্ত অবস্থায় লাহোরের হাসপাতালে ! লস্কর-ই-তৈবার সহপ্রতিষ্ঠাতার গুরুতর অবস্থা কি খেলা শেষেরই ইঙ্গিত দিল?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Pakistan News: পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং হাফিজ সইদের খুবই ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচিত আমির হামজাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে গুরুতর আহত অবস্থায় লাহোরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Report- Om Prakash Tiwari: সন্ত্রাসবাদ নিঃসন্দেহেই পাকিস্তানের জন্য এখন বিশেষ করে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই প্রতিবেশী দেশের আকাশে সিঁদুরে মেঘ ঘনিয়েছে। ভারত সফলভাবে ধ্বংস করেছে ৯ জঙ্গি ঘাঁটি। অন্য দিকে, বাংলাদেশি নাগরিকরা পাকিস্তানের বৃহত্তম সন্ত্রাসী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানে (টিটিপি) বিপুল সংখ্যায় যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। এই দুই পরিস্থিতির মধ্যেই এক হাই প্রোফাইল জঙ্গির গুরুতর আশঙ্কা সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের বার্তাই কি তুলে ধরল? (File Photo)
advertisement
পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং হাফিজ সইদের খুবই ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচিত আমির হামজাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে গুরুতর আহত অবস্থায় লাহোরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামজার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। আমির হামজা পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালার বাসিন্দা। তাঁকে লস্করের প্রধান কমান্ডার হাফিজ সইদের খুব ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। হামজা ২৬/১১ মুম্বই হামলার মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীও।
advertisement
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিছু লোক তাঁকে লাহোরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে তাঁর অবস্থা গুরুতর বলে জানানো হয়য়। তার কপাল, নাক এবং অন্যান্য জায়গা থেকে রক্ত ঝরছিল। প্রাণহানির আশঙ্কা বিবেচনা করে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে একটি সামরিক ঘাঁটির হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমির হামজাকে সন্ত্রাসী সংগঠন লস্করের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বলা হয় যে হাফিজ এবং অন্যরা হামজাকে জিজ্ঞাসা না করে কোনও কাজ করতেন না। হামজা লস্করের আরেক সংগঠন জামাত-উত-দাওয়ারও প্রধান ছিলেন, যা মূলত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লস্করের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজ করে।
advertisement
২৬/১১ মুম্বই হামলায় যেমন, তেমনই আমেরিকাও ২০১২ সালে তাঁকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে, লস্করের জন্য তহবিল সংগ্রহ নিয়ে আমির হামজা এবং হাফিজ সইদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। কারণ পাকিস্তান সরকার তখন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এই সংগঠনটিকে তহবিল সংগ্রহ থেকে আটকেছিল। হামজা মনে করতেন যে হাফিজ এই বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেননি, অন্যথায় এই সংস্থার অনুদান গ্রহণে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকত না।
advertisement
এরপর হামজা জইশ-ই-মানকাফা নামে একটি পৃথক সংগঠন গঠন করেন, যা তহবিল সংগ্রহের কাজ করে যায়। হাফিজের সঙ্গে দূরত্বের কারণে হামজা গত কয়েক বছর ধরে সক্রিয় অভিযানে অংশগ্রহণ করছিলেন না, তবে তরুণদের মগজ ধোলাই করতে থাকেন। প্রশ্ন উঠছে, এবার হামজাকে কে এত খারাপভাবে আহত করল যে তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছলেন? পাকিস্তান পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি এবং লস্করও এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি।