এই শৌচালয় গুলি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিকাদার সংস্থাকে। সেই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিদিন ১৫- ২০ হাজার মানুষ শৌচালয় ব্যবহার করেন। রেল যাত্রীদের থেকে জোর করেই ৩-৫ টাকা আদায় করা হয়। দিনে কম করে ৬০-৭০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ।
সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিদিন তাঁদের থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনও স্লিপ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী টাকা না দিলে শৌচালয় ব্যবহার করতেও দিচ্ছে না। শৌচালয়ের দায়িত্বে থাকা ঠিকা কর্মীদের দাবি, তাঁরা কোনও টাকা নিচ্ছেন না। কেউ কেউ নিজে থেকে শৌচালয় পরিষ্কার রাখার জন্যই টাকা দিচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- জাতীয় শিক্ষানীতিকে প্রাধান্য দিয়েই রাজ্যের 'শিক্ষানীতি'? খসড়া রিপোর্ট জমা পড়ল মুখ্য সচিবের কাছে
যাত্রীদের যে অভিযোগ তার সঙ্গে ঠিকা কর্মীদের বক্তব্যের কোনও মিল নেই। সাধারণ মানুষের দাবি, প্রতিদিন ৬০-৭০ হাজার মানে সাত দিনে কত? আর মাসে ? এই লক্ষ লক্ষ টাকা যাচ্ছে কোথায় ! যাত্রীদের দাবি, বড়সড় দুর্নীতি হচ্ছে স্টেশনে। গোটা ঘটনার অভিযোগ পেয়ে হাওড়া ডিভিশনাল ম্যানেজার ( DRM) জানান, নিউস ১৮ বাংলার খবর কানে এল। খবর সম্প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসল রেল। সরানো হল দুই ঠিকাদারি সংস্থাকে। ৫ বছরের যে চুক্তি ছিল তা বাতিল করা হবে। ঘটনার তদন্ত করবে পূর্ব রেলের কমারশিয়াল ম্যানেজার।
আরও পড়ুন- প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদ, রক্তারক্তি কাণ্ড বেহালার সরশুনায়
একটি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ আগেই এসেছিল। অপর সংস্থার বিরুদ্ধে আজকে অভিযোগ জানা যায়। দুটি ক্ষেত্রেই দেখা যায়। অভিযোগ সত্য। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আপাতত দুই সংস্থা কোনও প্রকার অর্থ নিয়ে এই শৌচালয় চালাতে পারবে না। ঘটনার তদন্ত করবে পূর্ব রেলের কমারশিয়াল বিভাগ৷ এই টাকা কেন নেওয়া হল? কোথায় গেল সেই টাকা? এর যাবতীয় তদন্ত হবে। রেল কর্মীদের ভূমিকাও উল্লেখ করা হবে