মাটির ১৬.৫ মিটার নীচে থাকছে মেট্রোর লাইন। শিয়ালদহ স্টেশনের একদিকে ফুলবাগান মেট্রো স্টেশন, অন্যদিকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন। যেহেতু এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন জাংশন স্টেশন হতে চলেছে, তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে ভিড় নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা রাখতে হবে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনেও। শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন তৈরির দায়িত্বে থাকা আধিকারিক আইটিডি-সিইএম এর চিফ অপারেটিং ম্যানেজার রুপক সরকার জানিয়েছেন, "শিয়ালদহ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা স্টেশন হতে চলেছে। কারণ শহরতলির বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসে মেট্রো ধরবেন। ফলে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্যে প্রশস্ত জায়গা এবং যথাযথ ভাবে শিয়ালদহ স্টেশনের উত্তর, মেন এবং দক্ষিণের রেল প্ল্যাটফর্মে পাঠানো সবটা বুঝেই আমরা কাজ করেছি। যাতে মানুষের অসুবিধা না হয়।"
advertisement
যাত্রীদের সুবিধার জন্যে স্টেশনে থাকছে ৯টি সিঁড়ি। তার মধ্যে শিয়ালদহ দক্ষিণের দিকে থাকা প্রশস্ত জায়গা দিয়ে সহজেই আসা যাওয়া করা যাবে। সুবিধার জন্যে তাই বেশ চওড়া করা হয়েছে এটি। এছাড়া মেট্রো স্টেশনে ঢোকা ও বেরনোর জন্যে থাকছে একাধিক প্রান্তে সিঁড়ি। স্টেশনে থাকছে মোট ১৮টি এসক্যালেটর। থাকছে মোট ২৭টি টিকিট কাউন্টার। এর মধ্যে বেশ কিছু টিকিট কাউন্টার হবে যারা শারীরিক ভাবে সমস্যায় তাদের জন্যে। বিশেষ ভাবে নীচু করা হয়েছে। এছাড়া যাতায়াতের সুবিধার জন্যে থাকছে মোট ৫টি লিফট। মোট ৩টি প্ল্যাটফর্ম থাকছে।
যেহেতু বহু যাত্রী ওঠানামা করবেন তাই আইল্যান্ড প্ল্যাটফর্ম রাখা হয়েছে।ইতিমধ্যেই স্টেশন সাজানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ফ্লোর সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বউবাজার থেকে টানেল বোরিং মেশিন উর্বি এসে পৌছবে শিয়ালদহ স্টেশনে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ফের তাকে ঘুরিয়ে পাঠানো হবে বউবাজারের দিকে। তাই প্ল্যাটফর্মের একাংশ সাজানোর কাজ এখনই শুরু করা যাচ্ছে না। রুপক বাবু জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তারা শিয়ালদহ স্টেশন মেট্রো রেলের হাতে তুলে দেবেন।