রাজ্য সরকার অগ্রাধিকারের নাম চিহ্নিত করার জন্য ১৫ দফা নির্দেশিকা দিয়েছে। যার প্রথম কথাই হল, উপভোক্তার নাম চিহ্নিত করার আগে দেখতে হবে তার পরিবারের কোনও পাকা বাড়ি রয়েছে কিনা? পরিবারের কেউ অতীতে ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলী বা অনুরূপ কোনো সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধা পয়েছেন কিনা। নিয়ে থাকলে কোনও ভাবেই এবারের প্রকল্পের সুযোগ পাবে না।
advertisement
এর পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামে উপভোক্তাদের নাম ধরে ধরে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যৌক্তিকতা কতখানি খতিয়ে দেখার সময় একশো দিনের গ্রা্মীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে পাওয়া জব কার্ড সঠিক না ডুপলিকেট যাচাই করতে হবে। কোনও ধরনের অনিয়ম পেলেই তা পোর্টালে গিয়ে জব কার্ড ব্লক করতে হবে। এই কাজটি প্রতিটি গ্রামের আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, প্রাণী বন্ধু, গ্রামীণ পুলিশ,ও গ্রাম পঞ্চয়েতের কর্মীদের নিয়ে এই দল তৈরি করে তালিকার নাম চিহ্নিত করতে হবে। প্রতিটি গ্রামে ৫ থেকে ১০ দল তৈরি করতে এই যাচাই সমীক্ষা করতে হবে।
সরকারি নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা রয়েছে,তালিকায় থাকা উপভোক্তার নাম চিহ্নিত করার সময় দেখতে হবে তার পরিবারের কারও মাসিক আয় যেন দশ হাজার টাকার বেশি না হয়। পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি না করে। আয়কর, বৃত্তি কর পরিবারের কেউ দিয়ে থাকলে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এমনকি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋন নেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলেও হবে না। উপভোক্তার যন্ত্র চালিত নৌকা, কৃষি সরঞ্জাম বা অন্য কোনও ধরনের গাড়ি থাকলে তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
প্রতিটি তালিকা ২ শতাংশ জেলাশাসক নিজে যাচাই করে দেখবে সরকারি নির্দিশিকা মতো কাজ হয়েছে কিনা।৩ শতাংশ ক্ষেত্রে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে এবং ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে বিডিও অফিস থেকে বাধ্যতামূলকভাবে যাচাই করতে হবে। দেখতে হবে সমীক্ষা করে যে তথ্য পেশ করা হয়েছে তা সঠিক। কোনও অভিযোগ পাওয়া মাত্রই প্রয়োজন আধিকারিকরা সরজমিনে তদন্ত করে দেখবে। বাতিল করা হলে নতুন নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে গ্রামসভা ডেকে অনুমোদন করাতে হবে। থানার ওসি বা আইসি বিডিও অফিসের সঙ্গে আলোচনা করে র্যানড্যাম চেকিং করবে সমীক্ষার সাহায্যে যাচাই করে জমা পড়ে তথ্য কতটা সঠিক। রিপোর্ট পেশ করার সময় প্রতিটি স্তরে সংশ্লিষ্ট অফিসার ও পুলিশকে দায়িত্ব নিয়ে উল্লেখ করতে তথ্যগুলি সঠিক।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়