advertisement
ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘@derekobrienmp (ডেরেক ও ব্রায়েন), মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া মুখপাত্র হিসাবে আপনার থেকে জানতে চাই, করোনা পরীক্ষার কত নমুনা পড়ে আছে? আমি মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি, সংখ্যাটা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। যথেষ্ট ভয়ের কারণ। নমুনা পরীক্ষায় এতটা সময় লাগলে পরীক্ষা করার কারণই নষ্ট হয়। গতকাল রাজ্যে সর্বোচ্চ ৩৭১ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এভাবে তথ্যের গরমিল হলে কারওর লাভ হবে না। আড়াল করে কোনও সংকটের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়নি। সাধারণ মানুষের সচেতনতার মূল ভিত্তি হল সঠিক সময়ের সঠিক তথ্য। সঠিক তথ্য মানুষ পেলে আনলকডাউনের সময় মানুষ আরও সচেতন হয়ে থাকতে পারবেন।’
প্রসঙ্গত এর আগেও একাধিকবার রাজ্যপাল করোনা টেস্টের তথ্য নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। শুধু তাই নয়, দিনে প্রত্যেকদিন কতজন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন সেই তথ্যও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে কয়েক মাস আগেই রাজ্যপাল রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। এমনকি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় দলকে সহযোগিতা কেন করা হচ্ছে না অভিযোগেও রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। গত সপ্তাহে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকে করোনা টেস্টিংয়ের রিপোর্ট কেন পাওয়া যাচ্ছে না তা নিয়ে মুখ্য সচিবকে রাজ্যপালের অবস্থান জানানো হয়েছে বলেই রাজ ভবন সূত্রে খবর।
রবিবার দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭১ জন। এ যাবৎ রাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৪৪ জন। গত শুক্রবারের সেই হিসেবকে পেছনে ফেলে সোমবার রেকর্ড সংক্রমণ হয় রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে প্রকাশ, এ যাবৎ রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ৫ হাজার ৫০১ জন। এর মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২৭জন। জানা গিয়েছে এ যাবৎ করোনার ফলেই মৃত্যু হয়েছে ২৪৫ জনের। কো-মর্বিডিটির কারণে মৃত আরও ৭২ জন। এ পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মোট ২ হাজার ১৫৭ জন।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়