#কলকাতা: ডিভোর্সি মহিলার সংখ্যা জানতে চেয়ে বিধানসভায় হাসির খোরাক হল কংগ্রেস। প্রশ্নশুনে হতচকিত মন্ত্রী শশী পাঁজা বললেন, ''এমন কোন তথ্য নেই তার দপ্তরে।" যদিও, প্রশ্নকর্তার দাবি, তার প্রশ্নের ইঙ্গিতটা ধরতেই পারলো না শাসকদল।
বাজেট অধিবেশনের শেষদিন। জেলার শাসক থেকে বিরোধীদলের বিধায়করা চাইছেন তাড়াতাড়ি অধিবেশন চুকিয়ে ট্রেন ধরতে। ফলে, আজ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তরপর্বে অতিরিক্ত প্রশ্নে তেমন আগ্রহ নেই কারো। নির্ধারিত সূচি মেনে বিধানসভায় নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের ওপর সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে নানা তথ্য দিচ্ছিলেন মন্ত্রী শশী। রাজ্যে বিধবা ভাতা, বার্ধক্যভাতা খাতে সরকারের খরচের খতিয়ান তুলে ধরে মন্ত্রী যখন সামাজিক প্রকল্পে সরকারের উৎকর্ষের প্রমান দিতে ব্যাস্ত, ঠিক তখনই বিরোধী কংগ্রেস বিধায়কের প্রশ্নে তাল কাটল শশীর। কংগ্রেসের ভরতপুরের বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, রাজ্যে ৬০ ঊর্ধ্ব বয়স্ক পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা কত? এ পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু, সেখানে না থেমে, রাজ্যে ৬০ ঊর্ধ্ব বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলার সংখ্যাও জানতে চান তিনি।
advertisement
কমলেশের শক্তিশেলে ততক্ষনে কুপোকাৎ মন্ত্রী রীতিমত আমতা আমতা করতে শুরু করেছেন। অপ্রস্তুত মন্ত্রী স্বীকার করে নেন, ''এমন কোনও তথ্য তাঁর দফতরের হাতে নেই।" হকচকিয়ে যাওয়া মন্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মুচকি হেসে বিধায়ককে জিজ্ঞেস করেন, মাননীয় সদস্য কি বিবাহবিচ্ছিন্ন? শুনে হাসির রোল ওঠে বিধানসভায়। কিছুটা ইতস্তত করে রণে ভঙ্গ দেন কমলেশও। প্রসঙ্গান্তরে চলে যান মন্ত্রীও।
তবে, অধিবেশন শেষে শাসক দল ও স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে সরব কমলেশ বলেন, ''আসলে আমার প্রশ্নের লক্ষ্যটাই ওঁরা ধরতে পারলো না। ৬০ এর ঊর্ধ্বে বয়স্ক, বয়স্কাদের জন্যই রয়ছে পেনশন, বার্ধ্যক্যভাতার মত সরকারি নানা প্রকল্প। কিন্তু, সমাজে বিবাহবিচ্ছন্না বা ডিভোর্সিদের সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা খুবই করুণ। কিন্তু, তাঁদের বিষয়ে সরকারের কাছে প্রকৃত তথ্য না থাকলে, দিশা দেখাবে কি করে সরকার? এটা না বুঝেই বিষয়টাকে হাসির খোরাক করল সরকার। "