পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছিল সত্যেন্দ্র, সঙ্গে ছিল একাধিক সিম। ইতিমধ্যে টাকাও ফুরিয়ে আসছিল সত্যেন্দ্রর, বিহারে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছিল সে। অন্যদিকে, পুলিশ সত্যেন্দ্রর আত্মীয়দের ফোন ট্যাপ করতে শুরু করে। শুক্রবার টাকার জন্য অন্য সিম ববহার করে এক আত্মীয়কে ফোন করেছিল সত্যেন্দ্র! আর তাতেই তার কাল হল! পুলিশ ফোনের কথোপকথন ও লোকেশন ট্র্যাক করে হাতেনাতে ধরে ফেলল সত্যেন্দ্রকে।
advertisement
সত্যেন্দ্রর মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখায় হাওড়া স্টেশন। বিধাননগর কমিশনারেটের টিম পৌঁছে যায় স্টেশন চত্বরে। সেখানে এক ট্র্যাভেল এজেন্সির অফিসের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে। সূত্রের খবর, আজই তাকে আদালতে পেশ করা হতে পারে৷ সবার সামনে ফাঁসি চাই- দাবি মৃত ছাত্রদের পরিবারের৷
কে এই সত্যেন্দ্র চৌধুরী? মৃত ছাত্র অতনু দে-র পরিবারের তরফে অভিযোগ, পুরো ষড়যন্ত্রের মূল পান্ডা সত্যেন্দ্র। অভিযোগ, এই সত্যেন্দ্রই ২২ আগস্ট দুই পড়ুয়াকে মোটর বাইক কেনানোর নাম করে নিয়ে যায় এবং অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে শ্বাস রোধ করে খুন করে। কিন্তু পুরো ঘটনা এখন পুলিশের কাছে পরিষ্কার হওয়ার পরেও বহুদিন পুলিশ নাগাল পায়নি খুনের মাস্টার মাইন্ডের৷ সেই নিয়েই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন।
গত ২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ওই দুই ছাত্র। গত ২৫ অগস্ট হাড়োয়া থানার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার করা হয় অভিষেকের দেহ। এর আগে, গত ২৩ অগস্ট ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় অতনুর দেহ। ১০-১২ দিন দেহ মর্গে থাকার পরও পুলিশ জানতে পারেনি বলে অভিযোগ। গত ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়।