অনশনের ৯৪ ঘণ্টার মাথায় প্রবেশিকা নিয়ে জয় আন্দোলনরত পড়ুয়াদের। চাপের মুখে কলাবিভাগের ৬টি বিষয়েই প্রবেশিকা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মঙ্গলবার রাতে ৷ বিভাগগুলিকেই কি প্রবেশিকার দায়িত্ব দেওয়া হবে নাকি মূল্যায়ন করবেন বাইরের শিক্ষকরা? মূলত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এদিন বসছে কর্মসমিতির বৈঠক ৷
৫০-৫০ ফর্মুলা অর্থাৎ প্রবেশিকা ও উচ্চ-মাধ্যমিকের নম্বর মিলিয়ে তৈরি হবে ভরতি তালিকা। গত ২৭ জুনের সিদ্ধান্তই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের। প্রবেশিকার ৫০%, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ৫০%, দুই পরীক্ষার ফলের নিরিখেই নেওয়া হবে ভর্তি ৷ উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা ও ইংরাজিতে প্রাপ্ত নম্বর ও প্রবেশিকার নম্বর মিলিয়ে বাংলা বিভাগে পড়ুয়াদের অ্যাডমিশন দেওয়া হবে ৷ অন্যদিকে, ইংরাজি বিভাগে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিকে ইংরাজি ও প্রবেশিকার নম্বর যোগ করেই বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
advertisement
আরও পড়ুন
সূর্যের চারপাশে অবাক ‘বলয়’ ! আকাশে সবার চোখ
তবে প্রবেশিকা ফিরলেও অভূতপূর্ব পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই সিদ্ধান্তে সায় নেই উপাচার্য, সহ- উপাচার্যের। পরীক্ষার ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন রেজিস্ট্রার ও ডিন অফ আর্টস। প্রবেশিকা বিতর্কে এবার পদত্যাগ করতে চান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য ৷ ইসি-র সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাঁরা সহমত নন ৷ অব্যাহতি চেয়ে রাজ্যপালকে এদিন চিঠি দিতে পারেন তারা ৷
আরও পড়ুন
৪০ জন নার্সারি পড়ুয়াকে অন্ধকার ঘরে আটকে রাখল স্কুল, আসল কারণ জানলে শিউরে উঠবেন
প্রবেশিকা ফেরানোর দাবিতে টানা অনশন চলছিল। অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই পড়ুয়া। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল। একইদিনে দু-বার ইসি বৈঠকের মতো নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল যাদবপুর। সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরও উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ - বিশৃঙ্খলার ছবিও ধরা পড়ে। প্রবেশিকা ফিরল। আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণও হল। কিন্তু একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে কার্যত দু-ভাগ হয়ে গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।