স্বাধীনতা দিবসের সকালে কালিয়াগঞ্জের মিলনপাড়ায় রিতা দাস নামে এক মহিলার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে৷ রিতাদেবীর ছেলে এবং পুত্রবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে, ওই দু জনই চায়ের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলেন৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে তিন জন প্রতিবেশী রিতাদেবীর বাড়িতে চা খাচ্ছিলেন৷ আচমকাই চা খাওয়ার পরই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তাঁরা৷ শুরু হয় বমি সহ অন্যান্য সমস্যা শুরু হয়৷ দ্রুত তাঁদের কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই চিকিৎসা চলছে চারজনের৷
advertisement
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ৷ চা থেকে বিষক্রিয়ার ফলেই চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ হয় পুলিশের৷
এর পরই রিতাদেবীর ছেলে এবং পুত্রবধূকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ৷ তাতেই ফাঁস হয় রহস্য৷ রিতাদেবীর পুত্রবধূ স্বীকার করে নেয়, চায়ের মধ্যে সে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে সে৷ রিতাদেবীর ছেলেও গোটা ঘটনার কথা জানত৷ এর পরই দু জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
ধৃতদের বয়ান অনুযায়ী রিতাদেবীর বাড়ি থেকে চায়ে মেশানো বিষও উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মাঝেমধ্যেই এই প্রতিবেশীরা রিতাদেবীর বাড়িতে চা খেতে আসতেন৷ কেন রিতাদেবীর ছেলে এবং পুত্রবধূ চায়ে বিষ মেশালো, তা জানতে ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ৷