দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য নামে এক ব্যক্তির ,নিউমার্কেট থানার এলাকায় ৮/২বি গোয়াল টুলী লেনে একটি তিন তলা বাড়ি রয়েছে।সেই বাড়িটিতে মোট ২০টি পরিবার ভাড়া থাকে। যার মোট জন সংখ্যা ১০০ জন।দেবাশীষ বাবুর কথা অনুযায়ী,তিনি ওই ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করেন,বেশ কয়েক বছর আগে। উচ্ছেদের পক্ষে জিতে যান। কিন্তু যখনই তিনি ওই বাড়িতে পুলিশ নিয়ে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের জন্য যাচ্ছেন,কাউন্সিলর নাকি বাধা দিচ্ছেন।এই ফোনের মাধ্যমে মেয়র অন কলে, অভিযোগ করেন।
advertisement
সরাসরি অভিযোগে ফলে, ঘটনাটি নিয়ে বেশ নাড়াচাড়া পরে যায় পুরসভার অন্দরে।পুর ভোটের আর এক মাসের কিছু বেশি বাকি।বিরোধীরা এটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে পারে।ফলে মেয়র সঙ্গে সঙ্গে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। কাউন্সিলর সন্দীপন সাহার বক্তব্য,' আমার কাছে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা এসেছিল।তারাও আইনত ওই ঠিকানাতে তিন থেকে চার পুরুষ ধরে বাস করছেন।তাদেরও আইনের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার রয়েছে।তাদেরকে আইনি পরামর্শ দিতেই পারি। অন্য দিকে দেখতে হবে,অতগুলো মানুষ কোথায় যাবেন। তবে ওই দেবাশীষ ভট্টাচার্য্যকে কোনও দিন দেখিনি, আমার কাছে উনি কোনও দিন আসেনি '।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ,কেউ বাড়ির মালিককে কোনও দিন দেখেন নি।কাউন্সিলর কোনও দিন ওই বাড়িতে আসেননি। ওই ঠিকানায় বাড়িটিতে গিয়ে দেখা গেল, বাড়িটি জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ দিন কোনওভাবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়নি। বাড়ির বাসিন্দাদের কাছে গেলে পরিষ্কার বোঝা গেল,তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন মামলা চলছে। ওই বাড়িটি ৬০ বছর আগে চন্দ্রাবতীদেবী নামে এক মহিলা সেলামিতে নিয়েছিলেন। পর পর তার আত্মীয় বংশ বৃদ্ধির ফলে,ওই বাড়িটি তাদের দখলেই থেকে গেছে।চন্দ্রাবতী দেবী মারা গেছেন।এখন তার উত্তরসুরিরা রেন্ট- কন্ট্রোলে ভাড়া দেন। সেই ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদের জন্য এই মামলা। বাড়িওয়ালা ওই ওয়ার্ডের থাকেন না। এই বাড়িটি তাদের ভাড়া ব্যবসার স্বার্থে করা ছিল। আর এই পরিবার ৫২ নং ওয়ার্ডের ভোটার। এই সময় কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা যদি পাশে না দাঁড়ায়,তাহলে ১০০ টি ভোটে ভাঁটা পড়তেই পারে। অতএব কাউন্সিলর সব সময় তার ওয়ার্ডের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইবে,।এই একই যুক্তি মেয়র ফিরহাদ হাকিমেরও। এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ জল ঘোলা হচ্ছে।যদিও ওই ওয়ার্ডটি এবার মহিলা সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে, তাই খুব বেশি চাপ নেই সন্দীপনের। তবে রাজনৈতিক অপপ্রচারের ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
SHANKU SANTRA