ইরানের পর এবার মালয়েশিয়া। লোভনীয় চাকরির টোপ দিয়ে বিদেশে নিয়ে গিয়ে কার্যত ক্রীতদাস করে রাখা। তেমনটাই ঘটেছিল হুগলির সঞ্জয় মল্লিকের ক্ষেত্রে। মালয়েশিয়ায় কাজে গিয়ে কীভাবে অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে তা ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন তিনি। নিউজ18 বাংলায় সেই খবর প্রচারিত হতেই ব্যবস্থা নেয় অ্যান্টি ট্রাফিকিং কমিটি। খবর যায় পিএমও, সিএমও, বিদেশমন্ত্রকে। সাঁড়াশি চাপে পড়ে পাসপোর্ট ফেরায় মালয়েশিয়ার সংস্থা। সঞ্জয়কে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়।
advertisement
রবিবার গভীর রাতে দমদম বিমানবন্দরে নামেন সঞ্জয়। বাড়ি ফিরলেও, বন্দিদশার আতঙ্ক কাটেনি এখনও। নিউজ18 বাংলাকে জানিয়েছেন সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসায় যেন দীপাবলির আলো ঝলসে উঠেছে পরিবারে। সেইসঙ্গে, বনগাঁর গোপালনগরের সংস্থা রোহন ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুলও উঠেছে।
সঞ্জয়ের উদ্বেগ কেটেছে। তাঁর মতো অনেক বাঙালিই এখন মালয়েশিয়ায় আটকে। যাঁদের মধ্যে কয়েকজনের এখনও হদিশই মেলেনি। তাঁদের ফেরানোই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।