শনিবার তিনি কলকাতায় ফিরে হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ ফেরত নিয়ে যান। ব্যাগের টাকার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বেশ কিছু ডকুমেন্টস, সেগুলি ফেরত পাওয়ায় নিশ্চিন্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিজানুর। একইসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশ ও বিনোদ রজককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, বিনোদ বাবুর দাবি, তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাড়তি কিছুই করেননি। মানুষকে সহায়তা করাই পুলিশের কাজ। তিনি সেটাই করেছেন। যদিও বর্তমানে সত্ভাবে দায়িত্ব পালন করাটাই যে ব্যতিক্রমী কাজ! বিনোদ রজক এদিন বলেছেন, ''ব্যাগে থাকা টাকাগুলো হয়তো আমার সংসারে অনেকটাই কাজে লাগত। কিন্তু অন্যের হারিয়ে যাওয়া টাকা আমার যতটা প্রয়োজন, হয়তো আসল মালিকের আরো বেশি প্রয়োজন! আর অসৎ উপায়ে টাকা অর্জন করার শিক্ষা পাইনি কোনোদিন। তাই এই ব্যাগ ফেরত দিতে পেরে অমি খুব খুশি।''
advertisement
এই মুহূর্তে রাজ্যের সিভিক পুলিশ নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন স্তরে। অন্যদিকে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়েও অনেক ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে সিভিক পুলিশ কর্মীদের মধ্যে। একে তো সামান্য বেতন, তার উপর প্রতি মাসে সেটাও সঠিক সময় না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে অনেক সিভিক ভলেন্টিয়ারের। কু়ড়িয়ে পাওয়া ব্যাগের ভিতর যে টাকা ছিল তা হয়তো বিনোদবাবুর এক মাসের বেতনের থেকে অনেকটাই বেশি। তবুও সেই অর্থ তাঁকে দিকভ্রষ্ট করতে পারেনি। সততার নজির গড়লেন বিনোদ রজক। দিন আনা দিন খাওয়া, রোদে পোড়া, জলে ভেজা নীল পোশাকের চাকরিতেই তিনি খুশি, সন্তুষ্টও।