#কলকাতা: টালিগঞ্জের রিজেন্ট কলোনিতে বৃদ্ধের রহস্যমৃত্যু। বরফের বাক্সে রেখে দেওয়া হয়েছে মৃতদেহ। বৃদ্ধের স্ত্রীর ফোন পেয়ে মৃতদেহ না দেখেই ডেথ সার্টিফিকেট দেন স্থানীয় এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। প্রতিবেশীদের দাবি, বৃদ্ধ সমীর শূরকে বাড়ি প্রোমোটিংয়ের জন্য দিতে চাপ দিতেন স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালক। চলত মারধরও।
নিরঞ্জন কুটির। ৩৫-ই , রিজেন্ট কলোনি। কলকাতা-চল্লিশ। এই বাড়ির মধ্যে একটি বরফের বাক্স থেকেই উদ্ধার হয় ৬৭ বছরের সমীর রঞ্জন শূরের দেহ। সাতদিন আগে সিমলা বেড়াতে যান স্ত্রী ও মেয়ে। অসুস্থ সমীরবাবু একাই ছিলেন বাড়িতে। তাঁকে খাবার দিতে আসতেন শ্যালক বিশ্বনাথ দাস। প্রতিবেশীদের দাবি, সোমবার সন্ধেয় বিশ্বনাথকে একটি বরফের বাক্স নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। বাড়িতে ঢুকতেই পচা গন্ধ পেয়ে খবর দেন যাদবপুর থানায়। পুলিশ এসে বাড়ির মধ্যে বরফের বাক্স থেকে সমীরবাবুর মরদেহ উদ্ধার করে।
advertisement
শ্যালকের দাবি, সোমবার দুপুর দুটোয় মৃত্যু হয় জামাইবাবুর। ডেথ সার্টিফিকেট দেন স্থানীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক অনিমেশ সাঁতরা। চিকিৎসকের কথাতেই স্পষ্ট , মৃতদেহ না দেখেই , শুধুমাত্র বৃদ্ধের স্ত্রীর কথায় ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন তিনি। অনিমেষ বাবু যা করেছেন,সেটা আইনত অপরাধ মনে করছেন ,আইনজ্ঞরা।তবে যাদবপুর থানা এটির একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।পুলিশের দাবী,উনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর সমস্ত কিছু পরিষ্কার হবে।এখন স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে এসে পৌঁছাননি।কোনও অভিযোগ হয়নি। সমীর বাবুর কোনও আত্মীয় এখনো মৃত্যুর খবর জানেন না। প্রতিবেশীদের দাবি, বাড়ি ও জমি লিখে দেওয়ার জন্য বৃদ্ধকে চাপ দিতেন তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, শ্যালক। মারধরও করা হত।
বৃদ্ধের মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
প্রশ্ন ১-
ঠিক কবে মারা গিয়েছেন বৃদ্ধ?
প্রশ্ন ২-
কেন বরফের বাক্সে রাখা হয় মৃতদেহ?
প্রশ্ন ৩--
মৃত্যুর খবর আত্মীয়স্বজনদের জানানো হয়নি কেন?
প্রশ্ন ৪-
বৃদ্ধের স্ত্রী জয়ন্তী শূর কেন চিকিৎসককে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে চাপ দেন?
প্রশ্ন ৫--
দেহ না দেখেই চিকিৎসক কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দিলেন?
অসুস্থ হয়ে মৃত্যু? না কী এর পিছনে আরও কোনও গভীর ষড়যন্ত্র? উত্তর খুঁজতে এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা।