ফুটপাতে সোমবার সকালের অঝোর বৃষ্টিতে পুরসভার ভ্যাটের পাশে একটি পলিথিন পেতে শুয়ে এক বৃদ্ধা। ওখানে যদিও শুধু উনি একা শুয়ে থাকেন না। থাকেন আরও অনেক ভবঘুরে মানুষ। বৃদ্ধার নাম রাধারানি ঘোষ। তাঁর বয়স ৭০ বছর। তিনি বললেন, তাঁর এক ছেলে রয়েছে। ছেলের খুব বেশি রোজগার নেই। সে বউ ছেলে নিয়ে বেশ সুখে আছে। রোজগারের তুলনায় মা সমস্যাসঙ্কটের বোঝা তাঁর কাছে। অভিযোগ, তাই ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তিনি জানালেন, তাঁর ছেলে কার্তিক চন্দ্র ঘোষ ওরফে বাপির বাড়ি সোনারপুরের বাবুইপাড়ায়। আপনি বাড়ি যাবেন? রাধারানিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ছেলে আমাকে নিয়ে যায় না। যদি নিয়ে যায়, আমি যাব। তবে বৌমার খুব অসুবিধা হবে।’’
advertisement
আরও পড়ুন : শহরের উষ্ণতম দিনে নামমাত্র পোশাকে নায়িকা, দেখুন তাঁর জলকেলির অ্যালবাম
আরও পড়ুন : অফলাইন স্কুলের লেখাপড়া নিয়ে সন্তানের আতঙ্ক কাটছেই না? রইল বিশেষজ্ঞের সমাধান
শুধু এই রাধারানি একাই নন। আজও বহু মা শহর গ্রামের ফুটপাত, গাছতলায় শুয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ বললেন, ‘‘এখন সরকার খাওয়ায় জন্য নাগরিকদের রেশন, মাসে ৫০০-১০০০ টাকা দিচ্ছে ।তাহলে মা কেন বোঝা হবেন?’’ রাধারানি বললেন, ‘‘এখনও চেয়েচিন্তে খবার জুটে যায়। কিন্তু মাথার ছাউনি, ঠিকানা হারিয়ে ফেলেছি যে।’’ এই ঠিকানাহীন মানুষগুলো সবাই সুস্থ। সম্পর্কের টানে, কাছের মানুষের মঙ্গলকামনা করে জন্য সূর্যের দিকে হাত তুলে প্রার্থনা করেন। বার্ধক্যের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নিক্ষিপ্ত অনাকাঙ্ক্ষিত দেশে। কিছুটা ভারসাম্যের অভাব আজ তাঁদের জীবনে। তবু তাঁদের মাতৃত্ব নিয়ে গর্বিত তাঁরা৷