নিজেদের ভিটে-মাটি ফেরত পাওয়ার দাবি নিয়ে সেকরাপাড়া লেন ও দুর্গা পিতুরি লেনের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির বাসিন্দারা ‘বৌবাজার মাটি ও মানবকল্যাণ সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়ি ভাঙার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি মোমবাতি মিছিল ও স্মরণসভা করেছিলেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্তেরা জানাচ্ছেন, তাঁদের পাড়ার বেশ কয়েক জন বয়স্ক মানুষ গত চার বছরে মারা গিয়েছেন। যাঁরা আর নিজের বাড়িতে ফিরতে পারলেন না।২০১৯-এর বিপর্যয়ের পরে ওরা বলেছিল সারিয়ে দেবে, কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। এখন যা অবস্থা হয়েছে, বাড়ি যে কোনও সময়েই ভেঙে পড়তে পারে। মেট্রোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই বলছেন ১৯ নম্বর দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দা ছবি সাহু।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ্য গ্রিন রেলওয়ে,দূষণরোধ ও সময়ানুবর্তিতার উদ্দেশ্যে জোর কদমে এগোচ্ছে কাজ
কলকাতার বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে ২০১৯ সালের ৩১ অগাস্টের রাতে ভেঙে পড়েছিল একের পর এক বাড়ি। ওই রাতে একাধিক বাড়িতে বিপজ্জনক ফাটল দেখা দিয়েছিল। রাতদুপুরে কার্যত এক কাপড়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল বাসিন্দাদের। তার পর চার বছর কেটে গেলেও, এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি ঘরছাড়া মানুষগুলি। কবে বাড়ি ফেরা হবে তাঁদের? আদৌ ফেরা হবে তো? প্রশ্ন বউবাজার বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। এখনও ভাড়া বাড়িতে থাকা প্রায় ২০০টি পরিবারের। সেই প্রশ্নের উত্তর অবশেষে দিল কলকাতা মেট্রো রেল করপোরেশন। তবে কবে সেই বাড়ির কাজ শেষ হয়ে, বাড়ির চাবি হাতে মিলবে তা নিয়ে এখনও সংশয়ে বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির বাসিন্দারা।
কলকাতা পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দুর্গা পিতুরি লেন ও স্যাকরাপাড়া লেনেই ঘটে যায় অঘটন। টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময় বিপত্তি বাধে। ভেঙে পড়ে একাধিক বাড়ি। অনেক বাড়িতে ধরে বিরাট বিরাট ফাটল। এই অনিশ্চয়তার শেষ কোথায়, আশা দেখাতে পারছেন না স্থানীয় কাউন্সিলরও। ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, “সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সত্যি বলতে কী , কবে হবে কেউ জানে না।”