কৃষিজমি বদলে যায় কারখানায়। বৃহস্পতিবারের সিঙ্গুর দেখল উল্টোছবি।
২০০৬-এ সিঙ্গুরে একলাখি গাড়ি প্রকল্পের ঘোষণা ৷ বাম সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির শান্ত সিঙ্গুর। শুরু হয় আন্দোলন।
তারই মধ্যে ২০০৭-এ বছরের শুরুতেই প্রকল্প নির্মাণ শুরু করে টাটা ৷
সিঙ্গুরের মাঠে-ময়দানে রাজনীতির লড়াইয়ে ততদিনে দুর্বল হয়েছে বামেরা। জমি আন্দোলনের হাত ধরেই ধীরে ধীরে পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছে তৃণমূল। ২০১১ সালে অবশেষে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল ৷
advertisement
রাজনৈতিক পালাবদল হতেই শুরু হল সিঙ্গুরে দিনবদলের ইতিহাস লেখা। গত দশ বছরে অনেক পথ পেরিয়ে এসেছে সিঙ্গুর। লড়াই-কষ্ট বা জমি ফিরে পাওয়ার সংশয় চেপে রেখে এগিয়ে গিয়েছেন অনিচ্ছুক কৃষকরা।
রাজ্যের দাবি মেনে নিয়ে ভিত আগেই গেঁথে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সিঙ্গুরের কৃষকদের সমস্ত জমি ফেরত দিতে চলেছে সরকার। কারখানার স্মৃতি মুছে ফের সিঙ্গুরে কৃষিকাজ এখন ঘোর বাস্তব।
দশ বছর বাদে গোপালনগর এলাকায় পা রেখে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে ২৩ জন কৃষককে জমি ফিরিয়ে দেন। এদিন নিজেই জমিতে নেমে সরষে বীজ ছড়ান মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকদের হাতে তুলে দেন সরষে কিট। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। সবমিলিয়ে, বৃহস্পতিবারের সিঙ্গুর ভেসে গেল বিজয়া সম্মিলনী আর হারিয়ে পাওয়ার আনন্দে।