৯০ বছরে পা দিল হিন্দুস্থান পার্ক সর্বজনীন। উদ্যোক্তাদের কথায়, রোগমুক্তির প্রার্থনায় এবার দুর্গার আরাধনা। তার জন্যই মানত। মণ্ডপ জুড়ে রঙিন সুতোর বুনোন। ধাগার বাঁধনে জীবনের খোঁজ।অতিমারী থেকে গোটা বিশ্ববাসীর মুক্তির আশায় তাদের এবারের থিমভাবনা ‘মানত’। শিল্পী রিণ্টু দাসের হাতের ছোঁয়ায় একটু একটু করে সেজে উঠছে মণ্ডপ। থিম-ভাবনার ছবি তুলে ধরতে গিয়ে শহরের ইট, কাঠ, কংক্রিটের মাঝে যেন একটুকরো প্রত্যন্ত গ্রামকে ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পী। সেখানে রয়েছে মানতের থান। প্রদীপ, নানা দেবদেবীর ছবি, তর্পণ, মানত করে ঝুলিয়ে দিয়ে যাওয়া ছোট ছোট ঢিলের সাহায্যে সাজছে মণ্ডপ। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই আদল দেওয়া হয়েছে প্রতিমার। সিঁদুর লাগানো কোষ্ঠীপাথরের প্রতিমা থাকবে মণ্ডপে।
advertisement
মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে। তবে তাঁদের মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। যাঁদের থাকবে না, তাদের তা দেবেন পুজো উদ্যোক্তারাই। এছাড়াও মণ্ডপে ঢোকার সময় হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। থার্মাল স্ক্রিনিংও হবে দর্শনার্থীদের। মণ্ডপে একসঙ্গে ১৫ জনের বেশি কাউকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। তুলতে দেওয়া হবে না সেলফিও। মণ্ডপের সামনে জরুরি চিকিৎসার বন্দোবস্তও রাখা হচ্ছে। করোনাভাইরাসকে কোনওভাবেই মণ্ডপের কাছে ঘেষতে দেবেন না এবার উদ্যোক্তারা। খোলামেলা মণ্ডপে, মাস্ক, স্যানিটাইজার, সামাজিক দূরত্ব মেনে মানত করবে হিন্দুস্থান পার্ক সর্বজনীন। পুজো হবে একেবারে অন্য ছকে।